সুজাতা আজিম
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম। ‘রূপবানখ্যাত’ এই অভিনেত্রী চিকিৎসা শেষে গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরেছেন। তবে ডাক্তার জানিয়েছেন তার হার্টে ব্লক রয়েছে। আপাতত কদিনের বিশ্রাম দিলেও দ্রুত ব্লক অপসারণ করতে হবে।
ষাট ও সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুজাতার নাতি ফারদিন আজিম কালের কন্ঠকে বলেন, গতকাল দাদিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্রামের পাশাপাশি ঔষধ চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ঔষধের মাধ্যমেই ব্লক সরানোর। সেটা না হলে হয়তো রিং পরাতে হবে।
তিনমাস পর ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন।’
উল্লেখ্য, গেল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে তিনি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিং করেছেন। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় অসুস্থ বোধ করেন। বাসায় ফেরার পর তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
পরে থাকে মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য, ষাটের দশকে চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা সুজাতা। তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা। চলচ্চিত্র তারকা সুজাতা অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক।
এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি ছবি ফোক ঘরানার।
তিনি ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। মাত্র ১২ বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার আসল নাম তন্দ্রা মজুমদার।
পরিচালক সালাহউদ্দিন তন্দ্রা মজুমদারের নাম রাখেন সুজাতা। আজও যিনি ‘রূপবান’ হয়েই আছেন দর্শকের হৃদয়ে। চলচ্চিত্র তার অভিষেক ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অসংখ্য হিট চলচ্চিত্রের নায়িকা সুজাতা। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় দূরে ছিলেন বড় পর্দা থেকে।
সুজাতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘রূপবান’, ‘ডাক বাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’ ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রে অবদান রাখার বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। চলচ্চিত্রশিল্পে তার অবদানের জন্য ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শিল্পকলার চলচ্চিত্র শাখায় অবদানের জন্য তিনি ২০২১ সালে তিনি একুশে পদক পান।