সংগৃহীত ছবি
ক্যাফেইনমুক্ত চা, যা হারবাল চা নামেও পরিচিত। এটি এমন এক পানীয় যা গরম পানির সঙ্গে গাছের শিকড়-বাকল, বীজ, পাতা, ফল বা ফুল (শুকনো বা তাজা) দিয়ে সেদ্ধ করে তৈরি করা হয়। এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই ক্যাফেইনমুক্ত হয়ে থাকে। আজকাল হারবাল চা ও তার গুণাগুণ সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলে।
এমনকি বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে নানারকমের হারবাল চা। যেমন তুলসী চা, জেসমিন চা ইত্যাদি। তবে চাইলে ভেষজ উপাদান সংগ্রহ করে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এই চা। কিছু হারবাল চা ও তার গুণাগুণ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
লেবু ও আদা চা
বমিভাব ও পেটব্যথা থেকে মুক্তি পেতে প্রাচীনকাল থেকেই লেবু ও আদা চা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এতে আছে অ্যান্টি-এমেটিকের মতো উপাদান, যা বমিভাব কমাতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা প্রশমিত করে। আবার হজমেও সহায়তা করে এই চা।
তুলসী চা
ঔষধি গুণ সম্পন্ন তুলসী পাতা দিয়েও চা বানিয়ে খাওয়া যায়।
এই চা ঠাণ্ডাজনিত যেকোনো সমস্যা যেমন কাশি, সর্দি, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি এবং অন্যান্য অনেক রোগ নিরাময়ের জন্য প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। জার্নাল অব ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুলসীতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড যা দেহের জন্য বেশ উপকারী।
গরম মশলা মিশ্রিত চা
দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ইত্যাদি গরম মশলা হিসেবে বিবেচিত। এগুলোর সংমিশ্রণে তৈরি হয় গরম মশলার চা। এই চা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দূরীকরণে বেশ কার্যকর।
এমনকি এই চা ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের লক্ষণ কমাতেও কার্যকর।
জেসমিন বা জুঁই ফুলের চা
জেসমিন চা হলো জেসমিন ফুলের সুগন্ধযুক্ত যা শরীরকে শান্ত ও শিথিল করতে সহায়ক। আবার এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।
জবা ফুলের চা
জবা ফুলের চায়ে আছে অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান। রক্তের শর্করা, কোলেস্টেরল, রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই চা লিভারের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখে। আবার হজমেও ভূমিকা রাখে এটি।
পুদিনার চা
হারবাল চায়ের মধ্যে পুদিনার চা বেশ বিখ্যাত। ফাইটোথেরাপি রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, পুদিনার চায়ে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা কিনা মাথাব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তি দিতে সহায়ক। এটি পান করলে মনও সতেজ থাকে।
সূত্র : অর্গানিক ফ্যাক্টস