ধারের খেলোয়াড়ের গোল এগিয়ে রাখল ইন্টারকে

উদযাপনে আর্নাতোভিচ। ছবিঃ এএফপি

অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কো আর্নাতোভিচ ধারে খেলতে এসেছেন ইন্টার মিলানে। ধারের খেলোয়াড় বলেই হয়তো নিয়মিত একাদশেও সুযোগ মেলে না তাঁর। অধিকাংশ সময়েই থাকতে হয়েছে বেঞ্চে বসে। গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগেও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি।

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে সান সিরোতে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। তাতে কি! দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে করলেন গোল, তাঁর করা এই এক গোলে জিতেই এগিয়ে রইল ইন্টার।

ইতালিয়ান লিগে দারুণ ছন্দে আছে ইন্টার। দুইয়ে থাকা জুভেন্টাসের চেয়ে এগিয়ে আছে ৯ পয়েন্টে।

তাতে লিগ শিরোপা ঘরে তোলার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে। এমন ছন্দে থেকেই অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে নেমেছিল ইন্টার।

কিন্তু সান সিরোতে প্রথমার্ধে কোন দলই সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দুই দলই বল পায়ে রেখে খেলার চেষ্টা করেছে।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে লাউতারো মার্তিনেস সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট নিতে দেরি করায় প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায় বল।

একটু পরেই চোট পান ইন্টারের ফরোয়ার্ড মার্কাস থুরাম। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্নাতোভিচ। মাঠে নেমেই সুযোগ পান ৩৪ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

তাতে বারবার হতাশ হতে দেখা যায় তাঁকে। অবশেষে ৭৯ মিনিটে এনে দেন সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। জালের দেখা পেয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন আর্নাতোভিচ। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে এগিয়ে থেকে ফিরতি লেগ খেলতে যাচ্ছে ইন্টার, আগামী ১৩ই মার্চ অ্যাতলেতিকোর মাঠে হবে সেই ম্যাচ।

এই গোলকেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আর্নাতোভিচ,’সম্প্রতি আমি অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি কিন্তু সমর্থক ও সতীর্থরা আমার সঙ্গে ছিল। এটা আমাকে শক্তি জুগিয়েছে এবং আমাকে গোল করতেই হত। নিশ্চিতভাবেই এই গোল আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ।’

শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে পিএসভি মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২৪ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন ডোনিয়েল মালেন। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন লুক ডি ইয়ং।

LEAVE A REPLY