ভারতের বাজারে আসতে শুরু করেছে রবিশস্য। এতে সরবরাহ বাড়ায় গত এক মাসে দেশটির স্থানীয় বাজারে চালের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। দাম আরো কমার আশা করা হচ্ছে। কিন্তু চালের দাম কমলেও রপ্তনিতে আরোপিত বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছে না দেশটির সরকার।
গত বছরের আগস্ট মাসে দেশের বাজারে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল, চলতি বছরের অর্থাৎ মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই শুল্ক জারি থাকবে। কিন্তু গত বুধবার জানানো হলো, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই শুল্ক অব্যাহত থাকবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক অনির্দিষ্টকাল জারি থাকবে বলে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তাদের অস্বস্তির জায়গা একটি। সেটা হলো বাজারে পণ্যের দাম। সে জন্য পেঁয়াজের পাশাপাশি বাসমতী ভিন্ন অন্যান্য সাদা চালের রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। একসময় টমেটো বিক্রি হয়েছে সরকারি বিপণি থেকে।
খোলাবাজারে বিক্রির জন্য সরকারি গুদামে শস্যের মজুদও বাড়ানো হচ্ছে। চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করা হলেও চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মোদি সরকার। গত মঙ্গলবার তারা আবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সেই সময় এগিয়ে আনার প্রশ্ন নেই, বরং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ভারতের বাজারে সম্প্রতি এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর জেরে ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁওয়ের পাইকারি বাজারে মাত্র দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল এক হাজার ২৮০ রুপি; ১৯ ফেব্রুয়ারি তা এক হাজার ৮০০ রুপিতে উঠে যায়।