ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো উত্তেজনা বাড়ালে পারমাণবিক যুদ্ধের ‘প্রকৃত’ ঝুঁকি সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোয় রুশ নাগরিকদের উদ্দেশে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।
পশ্চিমাদের সতর্ক করে পুতিন বলেন, ‘রুশ সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো দেশ কিয়েভে সেনা পাঠালে ‘দুঃখজনক পরিণতি’ হবে।
পশ্চিমারা ইউক্রেনে সম্ভাব্য সামরিক বাহিনী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। সম্ভাব্য হস্তক্ষেপকারীদের পরিণতি অনেক বেশি দুঃখজনক হবে।’ পারমাণবিক যুদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের (পশ্চিমাদের) মাথায় রাখা উচিত—আমাদের কাছে এমন সমরাস্ত্র আছে, যা তাদের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পশ্চিমাদের যেকোনো পদক্ষেপ পারমাণবিক সংঘাতের প্রকৃত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং এভাবে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
’
রাশিয়ার কৌশলগত সামরিক শক্তি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে দাবি করে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার কৌশলগত সামরিক শক্তি আদতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক। রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকিতে ফেলতে পারে এমন পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ প্রতিরোধই এর লক্ষ্য। অন্য কোনো কারণে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ সময় পশ্চিমাদের সমালোচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমারা বলে, রাশিয়া ইউরোপে আক্রমণ করতে যাচ্ছে—এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
রুশভীতি পশ্চিমাদের অন্ধ করে দিয়েছে।’
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নাকচ না করার জবাবে পুতিন এমন কড়া মন্তব্য করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু ফ্রান্সই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত দেশ ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে।
সূত্র : স্পুৎনিক, এএফপি