গাজায় ছয় সপ্তাহের সংঘর্ষবিরতির দাবি হ্যারিসের

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধি দল মিসরে পৌঁছেছে। নেতানিয়াহুকে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্য। অ্যালাবামায় রবিবার বক্তৃতা দেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিস। সেখানেই তিনি গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছেন।

 হ্যারিস বলেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় অন্তত ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা দরকার। এই বিষয়টি নিয়েই আপাতত আলোচনা চলছে।’ হ্যারিস আরো বলেছেন, গাজায় যাতে আরো মানবিক সাহায্য ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে হবে, কোনো অজুহাত দেওয়া চলবে না।

কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিরাও সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। রমজান শুরু হওয়ার আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এই আলোচনায় ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা যোগ দেননি। হামাসের সঙ্গে আলোচনার পর সেই খসড়া ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে।

ইসরায়েল দুইটি বিষয় জানতে চেয়েছে। এখনো যে ১০০ জন জিম্মি হামাসের হাতে বন্দি, তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েল জানতে চায়, ওই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে? এদিকে কমলা হ্যারিস বলেছেন, হামাস যুদ্ধবিরতি চাইছে। তাদের জন্য খসড়া প্রস্তাব টেবিলে রাখা আছে। তারা তা মেনে নিলেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

ইসরায়েলের বাম মনোভাবাপন্ন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্টজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। রবিবার তিনি বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সোমবার তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা। তিনি আলোচনায় বসতে পারেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও।

গাজায় সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর নেতানিয়াহু যে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা তৈরি করেছেন, গান্টজ তারও সদস্য। কিন্তু সম্প্রতি মন্ত্রিসভার ভিতরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিভিন্ন সদস্য। গান্টজ তাদের মধ্যে অন্যতম। কেন এখনো সব জিম্মি মুক্ত করা গেল না, এ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। এদিকে নেতানিয়াহুকে না জানিয়েই মার্কিন সফরে এসেছেন গান্টজ। এ বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন,‘মনে রাখতে হবে, ইসরায়েলে একজনই প্রধানমন্ত্রী।’ নেতানিয়াহুর দলের এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গান্টজের সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয়েছে নেতানিয়াহুর।

LEAVE A REPLY