প্রতীকী ছবি
আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাস আয় এসেছে দেশে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আয় দেশে পাঠিয়েছেন। আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাস আয় এসেছিল ২১০ কোটি ডলার। ফলে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাস দুই দিন কম হলেও প্রবাস আয় বেশি এসেছে।
অন্যদিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে প্রবাস আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাস আয় বেড়েছে ৩৮.৭৭ শতাংশ। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, বাজারে ডলারের ঘাটতি থাকায় অনেক ব্যাংকই রেমিট্যান্সের ডলার কেনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দামে কিনছে।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সে ৭.৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তখন ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ, যা ছিল সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৮ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে, যা একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড করে।
এদিকে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়লেও তাতে রিজার্ভের পতন থামেনি। যা ওই সময় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে বা ১৯.৯৪ বিলিয়নে নেমে আসে।
২০২৩ সালের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার কমে যায়। রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোর কম দর দেওয়াই যার পেছনে ভূমিকা রাখে। তবে প্রতিবছর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে দেখা যায়।
বর্তমানে রেমিট্যান্সের এক ডলার কেনার জন্য ঘোষিত দর হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।