জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর বহরের কাছে হামলা নিয়ে যা বলল রাশিয়া

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকস মিতসোতাকিসকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের ওডেসায় যান সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে ওই অঞ্চলের অবস্থা দেখাতেই তিনি সেখানে গ্রিসের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের গাড়িবহরের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতেই এই আক্রমণ চালানো হয়।

কিন্তু রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেডেভ জানিয়েছেন, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির ওপরেই হামলা চালাতো, গাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নয়। জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য ওই আক্রমণ চালানো হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এই বক্তব্য মানতে নারাজ।

এদিকে মলদোভার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। জানিয়েছেন, শুধু ইউক্রেন নয়, প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একই রকম ব্যবহার করছে পুতিনের রাশিয়া। যেকোনো সময় তাদের ওপরেও আক্রমণ নেমে আসতে পারে।

ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে জার্মানিতে ভোট
জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল।

সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জার্মানির তৈরি দূরপাল্লার টাউরুস ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত কি না। জার্মান চ্যান্সেলর দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে সম্প্রতি উচ্চপদস্থ জার্মান সামরিক কর্মকর্তাদের একটি কথপোকথন প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হবে।

এআরডির সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬১ শতাংশ জার্মান মনে করেন ওই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত নয়।

কারণ এরপর রাশিয়া জার্মানিতে হামলা চালালে তা প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা জার্মানির নেই। বস্তুত, ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন জার্মানির প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানো উচিত। ওই খাতে বাজেট অনেকটাই বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই খরচ মানুষের ওপর কর চাপিয়ে করা উচিত। অধিকাংশের বক্তব্য, অন্য খাতে খরচ কমিয়ে অথবা ধার নিযে এ কাজ করা দরকার। মানুষের ওপর আরো করের বোঝা চাপিয়ে নয়।

২৯ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, টাউরিস ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত। এর মধ্যে অধিকাংশই গ্রিন ও এফডিপি দলের সমর্থক। এই দুই দলও তা-ই মনে করে।

LEAVE A REPLY