যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন এড়াতে সরকারি ব্যয় প্যাকেজ পাস করেছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। শুক্রবার (৮ মার্চ) মধ্যরাতের সময়সীমা পার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিলটি পাস হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিলটি পাস হওয়ার আগে, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শেষ মুহূর্তের কিছুক্ষণ আগে সিনেটে ৭৫-২২ ভোটে বিলটি পাস হয়।
সিনেটে ৪৫৯ বিলিয়ন ডলারের মোট ছয়টি বিল পাস হয়েছে যা সরকারকে ৩০ শতাংশ তহবিলের জোগান দেবে। বিলটি অবশ্য কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার বিরোধীতার মুখোমুখি হয়েছিল। তাদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় ব্যয় কমাতে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
যদিও রিপাবলিকানরাও চেয়েছিলেন, দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
কংগ্রেশনাল আইন প্রণেতারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার একদিন পর, গত সপ্তাহে দ্বিদলীয় চুক্তিটি নিয়ে হোয়াইট হাউস ও সিনেটের আলোচকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
বিলটি পাস না হলে শনিবারের মধ্যে কৃষি, পরিবহণ, সামরিক বাহিনীকে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার মতো সরকারি বেশ কয়েকটি বিভাগের ২০ শতাংশ ব্যয় সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হতো।
এছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যয়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেটসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় তহবিলের মেয়াদ আগামী এক সপ্তাহে শেষ হয়ে যেত। এর আগে সরকারি শাটডাউনগুলোতে কর্মীদের ছুটিসহ জাতীয় বিভিন্ন স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন সরকার গত চার দশকে ১০ বার শাটডাউন বা আংশিক শাটডাউনের মুখোমুখি হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ আরেকটি বড় ধরনের বাজেট ঘাটতি বা শাটডাউনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সরকার। এর আগেই পেন্টাগনের বাজেট সমন্বয় করতে হবে কংগ্রেসকে।
এছাড়া নির্বাচনের এই বছরেই জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসকে এখন অবশ্যই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের জন্য আরেকটি বাজেটের ব্যাপারে একমত হতে হবে। কারণ এই বিভাগের অধীনেই রয়েছে বিতর্কিত অভিবাসন নীতি যা যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিশেষ রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখা হয়।