সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা শবনমের

শবনম

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম। বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানেই তাঁর তারকাখ্যাতি বেশি। এখনো তাঁকে স্মরণ করেন পাকিস্তানের জনগন ও মিডিয়া। এ বছর দেশটির সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ পেতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।

২৩ মার্চ ইসলামাবাদে দেওয়া হবে এই সম্মাননা। তবে এতদিন পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল না বাংলাদেশ সরকার। অবশেষে পেলেন অনুমতি। আজই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।

শবনম বলেন, ‘সরকারে আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে জীবনের শেষ মুহূর্তে এই সম্মাননা গ্রহণ করতে পারতাম না। আমি কৃতজ্ঞ।’

ঢাকায় এহতেশামের হাত ধরে অভিনয়ে হাতেখড়ি শবনমের। এরপর চান্দা, তালাশ, হারানো দিন, নাচের পুতুল সিনেমা দিয়ে অভিভক্ত পাকিস্তানে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পান।

পরবর্তীতে নিজেকে আরো মেলে ধরতে পাড়ি জমান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে মাথা উঁচু করে নিজেকে মেলে ধরেন। পরবর্তীতে জন্মভূমিতে ফিরে সর্বশেষ ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানেন। 

এর আগে শবনম পাকিস্তানে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বোচ্চ ১৩ বার নিগার, তিনটি জাতীয়, পিটিভি এবং লাক্স লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও ২০১৭ সালে লাহোর সাহিত্য উৎসবে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করার বিরল গৌরব অর্জন করেন শবনম।

LEAVE A REPLY