নানা রকম ডেজার্টের ভিড়ে দেশি মিষ্টান্ন পছন্দের শীর্ষে থাকে সবারই। ছবি : সংগৃহীত
ভারী খাবারের পর অনেকেই চান মিষ্টি কিছু মুখে দিতে। নানা রকম ডেজার্টের ভিড়ে দেশি মিষ্টান্ন পছন্দের শীর্ষে থাকে সবারই। রোজার সময় ইফতারের পর একটু মিষ্টি খেতে চান কেউ কেউ। সে ক্ষেত্রে ঘরে বানানো মিষ্টান্নই নিরাপদ।
ছানা দিয়ে তৈরি মালাই চপ রাখতে পারেন সে তালিকায়। খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকরও। কিভাবে তৈরি করবেন তা জানিয়েছেন তাহমিনা জামান। জেনে নিন রেসিপি―
উপকরণ
ছানা ১ কাপ
চিনি ১ চা চামচ
ময়দা ১ চা চামচ
সিরার জন্য
চিনি ১ কাপ
দারচিনি,এলাচ ২ টুকরা করে
পানি ৪ কাপ
মালাইয়ের জন্য
দুধ ১/২ লিটার
কনডেন্সড মিল্ক ৫-৬ টেবিল চামচ/স্বাদমতো (না থাকলে চিনি দিলেও হবে)
জাফরান সামান্য
এলাচ ১টি
প্রণালী
- হাঁড়িতে সিরার সব উপকরণ নিয়ে জ্বাল দিন।
ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন।ছানার সঙ্গে চিনি এবং ময়দা মিশিয়ে ভালো করে মাখুন ১০ মিনিটের মতো।এবার ছানা ১০ ভাগ করে হাতের সাহায্যে চপের আকারে গড়ে নিন।এখন সবগুলো মিষ্টি একসঙ্গে গরম সিরার মধ্যে ছেড়ে আবার চুলা জ্বালিয়ে দিন।
জ্বাল দেওয়ার পুরোটা সময় হাঁড়ির মুখ ঢেকে রাখবেন।চুলার আঁচ প্রথম ১০ মিনিট বাড়িয়ে রাখবেন। পরের ১০ মিনিট জ্বাল কমিয়ে দেবেন। এই ২০ মিনিটে মিষ্টি ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।২০ মিনিট পর চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে নিন।
এভাবেই ঢেকে রেখে দিন সিরা পুরোপুরি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত।সিরা পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মিষ্টিগুলো সিরা থেকে আলাদা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। মিষ্টিতে কোনো সিরার পানি থাকা যাবে না।এবার মালাই তৈরি করা শুরু করুন। প্রথমে প্যানে দুধ, জাফরান, এলাচ ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। ১/২ লিটার দুধ জ্বাল দিতে দিতে ঘন করে অর্ধেক করে ফেলুন।দুধ ঘন হয়ে গেলে এর মধ্যে মিষ্টিগুলো দিয়ে এক মিনিট জ্বাল দিন। এরপর পাত্র চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রেখে দিন সাত-আট ঘণ্টা। এরপর পরিবেশন করুন।
খেয়াল রাখুন—
- মিষ্টি তৈরিতে ছানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছানায় কোনো পানি থাকা যাবে না। ছানা বেশ সময় ধরে মাখাতে হবে। ছানা মাখতে মাখতে যখন হাত একটু তেলতেলে হওয়া শুরু হবে তখনি ছানা মাখা বন্ধ করে দেবেন। ছানার তেল বের হয়ে গেলেও মিষ্টি শক্ত হতে পারে।
- সিরা ঘন থাকা যাবে না। সিরা ঘন থাকলে মিষ্টি শক্ত হয়ে যাবে। এই মিষ্টির সিরা প্রথম থেকেই পাতলা থাকতে হবে।
- কনডেন্সড মিল্ক বা চিনি প্রথমেই সব দিয়ে দেবেন না। সবার মিষ্টি খাবার অভ্যাস সমান থাকে না, এ জন্য প্রথমে অল্প পরিমাণে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে পরে লাগলে আরো একটু যোগ করবেন।