ছবি : সংগৃহীত
চলছে পবিত্র মাহে রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এই পুরোটা মাস রোজা রাখেন। সাধারণত এই সময়টায় আমরা ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা না খেয়ে থাকি। তাই আমাদের উচিত সাহরিতে এমন কিছু খাওয়া, যাতে করে সারা দিনের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান হয়ে যাবে এবং পানির ঘাটতি পূরণ হবে।
পাশাপাশি পেট অনেকক্ষণ ভর্তিও থাকবে। সে ক্ষেত্রে আমরা বেছে নিতে পারি চিয়া সিড।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রচুর আঁশসমৃদ্ধ এই চিয়া সিড পেট অনেকক্ষণ ভর্তি করে রাখার পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। আবার রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, লৌহ, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদানসমৃদ্ধ এই চিয়া সিড অনেকভাবেই খেতে পারেন সাহরিতে।
চিয়া পুডিং
দুধে ভেজানো চিয়া সিডের সঙ্গে মধু বা ম্যাপল সিরাপ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই পুডিং। এর সঙ্গে চাইলে যুক্ত করতে পারেন বাদাম বা ফলমূল। রাতে ভিজিয়ে রেখে সাহরির সময় উঠে পরিবেশন করুন চিয়া পুডিং।
ফলের রস
আমরা রোজার সময় ইফতারে অনেক রকমের ফলের রস খেয়ে থাকি। চাইলে সাহরিতেও যুক্ত করতে পারেন এই জিনিস, সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া সিড। পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের রসের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়।
বেকিং
নতুন কিছু খেতে চাইলে কেক, মাফিন, পাউরুটি ইত্যাদি বেকিং জাতীয় খাবারে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। অনেকে আছেন, ডিমমুক্ত কেক খেতে চান।
তারা চাইলে ডিমের পরিবর্তে কেকের মিশ্রণে, পানিতে ভেজানো চিয়া ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র : ওয়েব মেড
