এবার হইচইতে জয়া ও পরী, আসছে নতুন ছয় কনটেন্ট

হইচইয়ে দেখা যাবে জয়া আহসান ও পরী মনিকে

নতুন মৌসুম ঘোষণা করেছে ওটিটি প্ল্যাটফরম হইচই। নতুন বছরে বাংলাদেশ থেকে ছয়টি নতুন কনটেন্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা। এই ছয়টির মধ্যে দুটির মাধ্যমে হইচইতে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের ও আলোচিত অভিনেত্রী পরী মনির। এ ছাড়া আরো অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও মেহজাবিন চৌধুরী।

এগুলো নির্মাণ করবেন দেশের গুণী সব পরিচালকরা।

আজ ২৬ মার্চ দুপুরে হইচই বছরজুড়ে আসন্ন ওয়েব সিরিজগুলোর লাইন-আপ প্রকাশ করেছে। এবারের জাঁকজমকপূর্ণ হইচই মিট ২০২৪-এর লাইন-আপ ঘোষণা করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। ভক্তদের প্রিয় নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও আশফাক নিপুণকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জনপ্রিয় ও পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক ভিকি জাহেদ, অনম বিশ্বাসও আছেন নির্মাতার তালিকায়।

হইচই মিট ২০২৪ প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, ‘হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ঢাকা মেট্রো সিরিজটি রিলিজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর আমরা আরো ১৮টি সিরিজ রিলিজ করেছি, যা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচইয়ের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের কাছে তাঁদের নিজের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেওয়া। দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি।

আমরা এ বছর ছয়টি কনটেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়বে।’

তিনি জানান, আলোচিত অভিনেত্রী পরি মনির অভিষেক হচ্ছে ‘রঙিলা কিতাব’ সিরিজের মাধ্যমে। কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস থেকে এটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। গল্প সম্পর্কে জানা যায়, বরিশালের একটি ছোট শহরের গ্যাংস্টার প্রদীপ প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছে। বিষয়টি জানার পরে তার অপরাধ জীবনকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নেয় সে।

তবে পরের দিনই স্থানীয় এমপিকে হত্যার জন্য অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হয় প্রদীপ। তার পর থেকে পালিয়ে বেড়ায় প্রদীপ। এখন তাঁর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব নিজেকে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুলিশ ও অজানা বিপদ থেকে রক্ষা করা।’

মহানগরখ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ প্রথমবার হইচইতে নিয়ে আসছেন জয়া আহসানকে। তাকে নিয়ে নির্মাণ করছেন ‘জিম্মি’। গল্প সম্পর্কে জানা যায়, জয়া আহসান সরকারি নিম্নপদস্থ কর্মচারী একজন মহিলা। ১০ বছর ধরে তিনি কোনো প্রমোশন পান না। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহিলাটি একদিন অফিসের স্টোররুমে একটা বড় অঙ্কের টাকার বাক্স পায়। এই হঠাৎ পাওয়া টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে মহিলাটি।

গেল বছর বুকের ভেতর আগুন সিরিজ দিয়ে হইচইতে এসেছিলেন অপূর্ব। সিরিজটিতে তিনি গোলাম মামুন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এবার নতুন কেস নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। সিরিজটির নাম রাখা হয়েছে গোলাম মামুন। গল্প সম্পর্কে জানা যায়, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নিজের আততায়ীকে খুনের দায়ে আটক হয় মামুন। সঙ্গে বন্ধু দম্পতির খুনেও জড়িয়ে যায় তার নাম। আইনরক্ষক মামুনকে আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে পালাতে হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। কিন্তু বাইরেও অপেক্ষা করছে আরো বড় বিপদ।

ছয়টি সিরিজের মধ্যে দুটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ। এর মধ্যে একটি নির্মাণ করছেন চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে। নাম দিয়েছেন রুমি। গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, চঞ্চল চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত সিআইডি অফিসার রুমি যখন দুর্ঘটনাক্রমে চোখ হারান, তখন তিনি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্নগুলো অন্য স্বপ্নের মতো স্বাভাবিক নয়, এগুলোর পেছনে একটা অর্থ আছে; এই সূত্রগুলো রুমিকে এখন যে হত্যা মামলাটি সমাধান করছে তা সমাধান করতে সহায়তা করবে, নাকি তার জন্য একটি জটিল ধাঁধা তৈরি করবে, তাই জানা যাবে সিরিজে। এ ছাড়া ‘মিথ্যাবাদী’ নামে আরো একটি সিরিজ নির্মাণ করছেন ভিকি জাহেদ। এতে অভিনয় করছেন মেহজাবিন চৌধুরী। গল্পে দেখা যাবে, মেহজাবিন চৌধুরী হাজবেন্ডের প্রতি শতভাগ লয়্যাল একজন স্ত্রী। সন্তান জন্মদানের চার বছর পর জানতে পারেন, তাঁর হাজবেন্ড সন্তান জন্মদানে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম। স্ত্রীর মনে প্রশ্ন- তাহলে এই সন্তান কার! সন্দেহের বশীভূত হয়ে মামলা করে তাঁর শ্বশুর ও ভাশুরের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ সিরিজটি নির্মাণ করছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। মোশাররফ করিমকে নিয়ে তার সিরিজের নাম ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। গল্প প্রসঙ্গে জানা যায়, মোশাররফ করিম ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস একজন দুর্দান্ত প্রেমিক মানুষ। সাত জেলায় থাকা সাত বউকে একে অপরের থেকে গোপন রেখে সে সুনিপুণভাবে সাত সংসার সামলায়। এদিকে একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হওয়া থেকে সদ্য যুবতী সুন্দরীকে বাঁচানোর পর সুন্দরী আব্বাসের প্রেমে পড়ে ও তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আব্বাস জানে, আট মানে সর্বনাশ তাই সুন্দরীকে বিয়ে করতে না চাইলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় গণ্ডগোল। আব্বাসের সাত সংসারে শুরু হয় বিভিন্ন রকম ঝামেলা। এই নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প।’

LEAVE A REPLY