‘ইংরেজি না জানায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি’

স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সরদার প্যাটেল। লৌহমানব খ্যাত এই কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ ইংরেজি না জানায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। এমনটি বলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার হন বলিউডের এই অভিনেত্রী। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন রানাউত। 

কিছুদিন আগে রানাউত এক বিবৃতিতে বলেছেন- ‘ভারত ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পেয়েছে’। সেই বক্তব্যের জন্য তিনি অনেক সমালোচনার শিকার হন। 

টাইমস নাও সামিট ২০২৪-এ বক্তৃতা করতে গিয়ে কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, আমরা কি স্বাধীনতাকে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে স্বাধীন বলে মনে করি? যদি তাই হয়, তাহলে আমরা কখনো স্বাধীন ছিলাম না। ব্রিটিশরা ভারতকে তাদের উপনিবেশ মনে করত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে তাদের আইন ছিল। কিন্তু আমরা চিন্তায় স্বাধীন ছিলাম। আমাদের নিজেদের মানুষ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল না। ১৯৪৭ সালের পর দেশটি বিদেশি মানসিকতার লোকদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। আমাদের নীতি বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়েছিল। আমরা ধর্মাচরণ করতে পারিনি। 

কঙ্গনা রানাউত আরও বলেছেন, আমরা যখন স্বাধীনতা পাই তখন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কোথায় ছিলেন? কে তাকে গুম করেছে? যিনি স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্ত ঝরিয়েছেন, তার বিমানকে ভারতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। উল্টো যারা জেলে বসে টিভি দেখেছে তারাই পরবর্তীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। 

কঙ্গনা রানাউত চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমি তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে পারি যে স্বাধীনতার পরে যারা ক্ষমতা পেয়েছিল তারা ব্রিটিশদের উত্তরাধিকারী।

১৯৪৭ সালের পর আমাদের অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী নিখোঁজ হয়। আজাদ হিন্দ সেনার লোকেরা অনশন করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এরকম অনেক কিছু আছে। দেখা যায় ২০১৪ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ইংরেজি না জানার কারণে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি বলেও দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত।

কঙ্গনা এই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন যে ২০১৪ সালের পর আমরা হিন্দু হিসাবে গর্বিতভাবে বাঁচতে পেরেছি, আমাদের আদর্শ সম্মান পাচ্ছি।

LEAVE A REPLY