রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমেছেন এই অভিনেত্রী। এদিকে বলিপাড়ায় কঙ্গনা-আলিয়া ভাটের বাগবিতণ্ডার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এবার রণে যোগ দিলেন অভিনেতা রণদীপ হুডা।
আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে একটি সমীক্ষায় সেরা অভিনেত্রীর শিরোপার জন্য মুখোমুখি আসে দুটি নাম— আলিয়া ও কঙ্গনা।
‘গাল্লি বয়’ ছবিতে রণবীর সিংয়ের বিপরীতে আলিয়ার অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছিল। বক্স অফিসেও সাফল্য ছিল বেনজির। অন্যদিকে কঙ্গনা অভিনীত ‘মণিকর্ণিকা’ ছবি বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করলেও বক্স অফিসে উতরে যায়।
সমীক্ষায় কঙ্গনার খাতে ৩৭ শতাংশ ভোট মেলে, আলিয়ার খাতে ৩৩ শতাংশ। জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কঙ্গনা। কেন তাকে আলিয়ার মতো মধ্যমানের অভিনেত্রীর সঙ্গে তুলনা করা হলো— এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে রণদীপ বলেন, একজন সহ-অভিনেতা বা সহকর্মীকে এভাবে আক্রমণ করা খুবই অপ্রীতিকর ঘটনা। শুধু নিজের না পাওয়ার কারণে, যদিও আমি মনে করি আপনি অনেক কিছু পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
অভিনেতা আরও বলেন, আমার মনে হয়েছে এ ক্ষেত্রে আলিয়ার পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাই আমি সেটাই করেছি। আমার মনে হয়, আলিয়া সব সময় চেষ্টা করে।
রণদীপের কথায়, কঙ্গনা প্রতিবার অন্যায়ভাবে আলিয়াকে আক্রমণ করে থাকেন। তবে ঘটনা নিয়ে আলিয়া ভটের মুখে কুলুপ। পুরো বিষয়টিকে উপেক্ষা করাই সমীচীন মনে হয়েছে অভিনেত্রীর।
অতীতেও কঙ্গনা-আলিয়া বিতর্কের সাক্ষী থেকেছে বলিউড। একটা সময় কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, রণবীর তাকে ধাওয়া করেন। তার বাড়ি ও ছাদে রীতিমতো নজরদারি চালান ঋষি কাপুরের পুত্র। তবে অনুরাগীরা এই ঘটনা বিশ্বাস করেননি। রণবীরের নাম না করে কঙ্গনা আরও বলেন, এক জন ‘ক্যাসানোভা’ কোনো আমন্ত্রণ ছাড়াই তার দোরগোড়ায় পৌঁছে যান এবং জোর করেন। তবে সেই ব্যক্তির যা বর্ণনা দেন তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় রণবীরকে নিয়েই কথা হচ্ছে।