ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানরা আইস ইয়াবা, জাল টাকার কারবারে

ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হলেও তাদের কারবার ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ইয়াবা ও জালটাকা নিয়ে। মাদক সেবন ও বিক্রির পাশাপাশি জালটাকা সংগ্রহ করে আসল টাকা হিসাবে চালাত তারা। সম্প্রতি এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, জাল টাকা ও অস্ত্রসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামিরা হলেন-বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের সাইদ উদ্দিনের ছেলে মো. ফয়েজ আহমেদ রাসেল (৪২), কোতোয়ালি থানার ইসলামপুরের ইমাউল হকের ছেলে শফিউল ইয়াসিন (৪৭), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের বাসিন্দা সাপিলি ডিকস্টারের ছেলে এলেক্স গমেজ (৩২), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের বাসিন্দা মো. ইব্রাহিমের ছেলে রামিসা সিমরান ইডেন (২৩) ও উত্তরা পশ্চিম থানার বাসিন্দা ইনস্টার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহিরুল হক চৌধুরীর ছেলে মো. জামিরুল হক চৌধুরী ওরফে জুবিন (৪২)।গত ২৮ মার্চ বাড্ডা থানাধীন স্বাধীনতা সরণি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বাড্ডা থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতাররা সবাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ও প্রভাবশালী। তারা মাদক সেবন, সরবরাহ, বিক্রিতে জড়িত। এর পাশাপাশি জাল টাকার কারবারও করে। জালটাকা সংগ্রহ করে সেগুলো আসল টাকা হিসাবে চালিয়ে দিত। ভয়ংকর মাদক আইস বিক্রির উদ্দেশ্যে বাসায় রেখে পরবর্তীতে বিক্রি করত। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে জামিরুল হক চৌধুরী ওরফে জুবিনের বাবা ইনস্টার কোম্পানির মালিক। গ্রেফতারের সময় জুবিনের বিছানার পাশ থেকে রেক্সিমেক্স ব্রান্ডের একটি ইয়ারগান, একটি পিস্তলসদৃশ এয়ারগান, সিসার তৈরি ৭৫ পিস এয়ারগানের গুলি, ৬০ পিস লোহার বল (এয়ারগানের গুলি হিসাবে ব্যবহৃত) ও টিস্যু পেপারে মোড়ানো ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে জুবিন জানিয়েছেন, তিনি ইয়াবাসসহ অন্যান্য মাদক সেবন ও বিক্রি করেন। তার অস্ত্রসদৃশ ইয়ারগানগুলো শখের বসে সংগ্রহ করেছেন। এসব এয়ারগান দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখাতেন তারা। এছাড়া জাল নোট সংগ্রহ করে সেগুলো আসল নোট হিসাবে চালাতেন। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, আসামিরা ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং জাল টাকার কারবারে জড়িত। গ্রেফতারের পর তাদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

LEAVE A REPLY