আদালতে হাজির হতে পরীমনিকে সমন

চিত্রনায়িকা পরীমনি

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ দুই আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন গ্রহণ করে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এম. সাইফুল ইসলাম। অপর আসামি হলেন, পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি।

আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

কালের কণ্ঠকে এ আইনজীবী বলেন, ‘‘পিবিআই’র দেওয়া প্রতিবেদনটি আদালত গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী ২৫ জুন আদালতে হাজির হতে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে কি হয়নি সেটি লিখিত আদেশ পেলে জানা যাবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন গত ১৮ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আসামি পরীমণি এবং তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয় সেখানে। তবে মামলার আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানিয়েছেন।

সাভারের বিরুলিয়ায় বোট ক্লাবে ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করে চিত্রনায়িকা পরীমনি।

বাকি চার আসামি অজ্ঞাতনামা। পরে পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলায় বিচার চলাকালে জামিনে থাকা অবস্থায় নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাল্টা এই মামলা করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা সেদিন ক্লাবে ঢুকে মদ পান করে অর্থ পরিশোধ না করেই যেতে চাচ্ছিলেন।

তিনি ওই রাতে যখন বোট ক্লাব ছাড়ছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ডেকে নেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন।তিনি এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি তার দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে তিনি মাথায় এবং বুকে আঘাত পান। নাসিরের দাবি, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

LEAVE A REPLY