আবাসন শিল্পের বৃহৎ স্টেক হোল্ডার হচ্ছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সেই বড় স্টেক হোল্ডার রিহ্যাবের কোনো প্রকার মতামত ছাড়াই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় খসড়াটি আগামী ৭ (১৬ এপ্রিল থেকে দিন গণনা শুরু) কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রস্তুত করায় সংক্ষুব্ধ হয়েছে রিহ্যাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এর চূড়ান্ত না করার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকে অনুরোধ করেছে রিহ্যাব।
জানা যায়, ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিধানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় ভবন। খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যে ভাবে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে তাতে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিক এর। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসন শিল্প।
কারণ নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে, একই সঙ্গে ফ্ল্যাটের সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উলম্বভাবে ভবন তৈরির দিকে এগুলেও আমরা হাঁটছি উল্টোপথে।
রিহ্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের জমির সংকট আগামীতে আরো মারাত্মক হবে। কৃষি জমির ওপর চাপ বাড়বে।
অসংখ্য নাগরিকের নিশ্চিত আবাসন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। ফ্ল্যাটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মারাত্মকভাবে বাসা ভাড়া বাড়বে। বাসা ভাড়ার চাপ সামাল দিতে না পেরে অনেক নাগরিকই ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে বাড়বে সাবলেট। ফলে নগর জীবন ব্যবস্থায় অসংখ্য জটিলতা তৈরি হবে এবং সংকটে পড়বে আবাসন খাত।
আবাসন খাত সংকটে পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন বিধিমালা প্রস্তুতকালেই রিহ্যাবকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। স্টেক হোল্ডার হিসেবে এই বিধিমালার খসড়া প্রণয়নে রিহ্যাবের লিখিত মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। মূলতঃ একতরফা ভাবেই এই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা সত্যি অনভিপ্রেত।
রিহ্যাব জানায়, সরকারের আইন ও বিধি সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রিহ্যাব সদস্যরা পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। রিহ্যাব সদস্যগণ বিভিন্ন ভবন তৈরি করে ঢাকা শহরের আবাসন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। রিহ্যাব সদস্যগণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাস্তবসম্মত তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জটিলতার সমাধানের মাধ্যমে প্রকল্প সম্পন্ন করে। বাস্তবায়ন পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রকল্পের সমস্যা ও অসুবিধা সমূহ রিহ্যাব সদস্যরাই মোকাবেলা করে। এজন্য উক্ত বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সুপারিশ ও মতামত গ্রহণ করা অতি আবশ্যক।
ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সাথে আলাপ-আলোচনা পূর্বক রিহ্যাবের মতামত ও সুপারিশ সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য অনুরোধ জানায় রিহ্যাব।