শুষ্ক দিনে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

বায়ুদূষণের সঙ্গে ডাস্ট অ্যালার্জির সম্পর্ক আছে। অতিরিক্ত ধুলাবালি, ফুলের রেণু, ডাস্ট মাইট অথবা ফাঙ্গাস নাক-মুখ দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করার ফলে সৃষ্টি হয় অ্যালার্জি এবং প্রদাহ, যাকে বলা হয়ে থাকে ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’।

ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষণ

হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুকে চাপ লাগা, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ থাকা, চুলকানি, শারীরিক দুর্বলতা, মাত্রাতিরিক্ত ধুলার মধ্যে দীর্ঘদিন থাকলে নিউমোনিয়াও হতে পারে। সব বয়সের মানুষেরই এ সমস্যাগুলো হতে পারে।

সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। যাদের অন্যান্য অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।

করণীয়

► দৈনন্দিন কাজের সময় মাস্ক পরা যেতে পারে। মাস্ক ব্যবহার করলে বায়ুবাহিত রোগ যেমন—অ্যালার্জি, অ্যাজমা, হাঁচি, কাশি, কফ, ব্রংকাইটিস, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ও শ্বাসকষ্ট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।

ধুলার সঙ্গে বায়ুতে ফুলের রেণু, জীবাণু, ছত্রাক, ধোঁয়া, কার্বন কণা ইত্যাদি ভেসে বেড়ায়। এসব থেকেও বাঁচাবে মাস্ক।

► ঘরের কার্পেটে প্রচুর ধুলা ও অণুজীব বাস করে। ঘরে কার্পেট থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে, ভারী পর্দা ব্যবহার করা যাবে না।

তাই কার্পেট ও বিছানাপত্র পরিষ্কার করার সময়ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

► এসির ফিল্টারে খুব দ্রুত ধুলা জমে যায়। এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

► অফিস ও বাসায় এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজের ক্ষেত্র, গাড়ি ও অন্যান্য স্থান রাখতে হবে পরিষ্কার ও শুষ্ক।

► অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

► শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।

► ধূমপান করা যাবে না।

► ম্যাট্রেস অনেক দিন ব্যবহারের ফলে সেখানে ডাস্ট মাইট ও অসংখ্য জীবাণু তৈরি হয়। এগুলো মানুষের অ্যাজমা কিংবা শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেবে।

► ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও কয়েক দিনের মধ্যে উপশম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. হালিমা সাদিয়া

মেডিক্যাল অফিসার, রেসপিরেটরি মেডিসিন, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা

LEAVE A REPLY