চীনে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

রেকর্ড পরিমান বৃষ্টির পর দক্ষিণ চীনের ঘনবসতিপূর্ণ পার্ল রিভার ডেল্টার কয়েকটি শহর বন্যায় ভেসে গেছে। সোমবার চীনের বন্যা কবলিত গুয়াংডং প্রদেশে নৌকায় করে উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। ভূমিধসে আটকে পড়া গ্রামবাসীদের বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

গুয়াংডং চীনের প্রধান রপ্তানিকেন্দ্র এবং অন্যতম বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রও।

কয়েকদিন ধরে প্রদেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে চীনের অন্যান্য অঞ্চলেও। শনিবার রাত ৮ টা থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাত চলেছে ১২ ঘণ্টা ধরে। এতে গুয়াংডংয়ের মধ্য ও উত্তরের বহু জায়গাসহ ঝাওকিং, শাগুয়ান, কিংগুয়ান এবং জিয়াংমেন নগরীও পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

সেসব জায়গায় মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।

গুয়াংডং-এ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যদিও সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রদেশে ১১ জন লোক নিখোঁজ ছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ মানুষ। তাদের সুরক্ষায় রবিবার সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা নিতে হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সিসিটিভি নিউজ রবিবার জানায়, পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিজিয়াং এবং বেইজিয়াংয়ের নদী ও উপনদীর অববাহিকার কয়েকটি অংশে পানির স্তর এমনভাবে বেড়ে গেছে যা বিরল, ৫০ বছরে যেমনটি মাত্র একবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২০২২ সালের জুনেও গুয়াংডং ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভারি বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তখন কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

গুয়াংডং কর্তৃপক্ষ আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি এবং জামা কাপড় প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া পানিতে যেসব অঞ্চল ডুবে যাবে সে সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের অন্যত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

LEAVE A REPLY