সংগৃহীত ছবি
চেন্নাই সুপার কিংসের দেওয়া ২১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। বল হাতে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটিংয়ে তখন সেঞ্চুরি হাঁকানো মার্কাস স্টয়নিস। মুস্তাফিজের প্রথম বলেই ছয় মারেন অজি ব্যাটার।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দুটি চার মারেন। যদিও তিন নম্বর বলটি নো করেন মুস্তাফিজ। ফ্রি হিটকে আবার চার বানিয়ে ৩ বল আগেই লখনউকে ম্যাচ জেতান স্টয়নিস।
৩ ওভার ৩ বলে ৫১ রান দেন বাংলাদেশের এই পেসার।
সান্ত্বনাসূচক লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেটটি পান তিনি। যদিও বল হাতে ভালো শুরু পান মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ফেরান রাহুলকে। তবে দ্বিতীয় ওভারে ৯ ও তৃতীয় ওভারে ১৫ রান দেন তিনি।
ইনিংসের শেষ ওভারে ১৭ রান আটকিয়ে চেন্নাইকে জেতাতে পারেননি মুস্তাফিজ।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি লখনউয়ের। কোনো রান না করে ফেরেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। রাহুল ১৬ ও পাডিকাল ফেরেন ১৩ রান করে। ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকোলাস পুরানও (৩৪)।
তবে একপ্রান্ত আগলে খেলে ঠিকই নিজের সেঞ্চুরির পূর্ণ করার সঙ্গে ম্যাচ জেতান স্টয়নিস। ৬৩ বলে ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরেন ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে। ড্যারিল মিচেল (১১) ও রবীন্দ্র জাদেজাও (১৬) ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত ধরে খেলে রান তোলার গতি সচল রাখেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে রুতুরাজকে সঙ্গ দেন শিবাম দুবে। অধিনায়কের চেয়েও এই তরুণ ব্যাটার ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন। অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ। ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রান করেন তিনি। এতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তোলে চেন্নাই। যা যথেষ্ট ছিল না।