যে কারণে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনছেন কঙ্গনা?

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। জোর কদমে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার চালাচ্ছেন কঙ্গনা। মাঝে এমন কিছু কথা বলে ফেলেছেন, যার কারণে তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা চলছে। তবে সে সবে পরোয়া করার মেয়ে তিনি নন। সম্প্রতি ভোট প্রচারে কিন্নুর যান তিনি। সেখানেই হিমাচলের পোশাক ও টুপি পরে বেশ কিছু ছবি তোলেন। আর তার পরেই পাল্টা রাগ গিয়ে পড়ে অন্যান্য পোশাকের ওপর। 

ভারতীয় সভ্যতাকে বাঁচানোর পক্ষে তিনি। সেই কারণে ছেঁড়া জিনস থেকে ছোট টপ না পরা কিংবা পিৎজা, বার্গার না খাওয়ার নিদান দিচ্ছেন অভিনেত্রী। তার পর থেকেই অভিনেত্রীর পুরনো ছবি ভাইরাল টুইটারে।

কঙ্গনা নিজে অভিনেত্রী। বাহারি পোশাকে তাকে দেখে এসেছেন দর্শক। ছবির পর্দায় একাধিকবার সাহসী পোশাকে দেখেছেন তারা। প্রতিবারই প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ক্যারিয়ারে একের পর এক ব্যর্থতা এসেছে। বলিউডকে বিভিন্ন সময় যেভাবে আক্রমণ করেছেন, তাতে খানিক একাই হয়ে গেছেন। কঙ্গনা একসময় বলেছিলেন মুম্বাইয়ে তৈরি তার বাড়ি মনের খুব কাছে। কারণ নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে সেটা বানানো। তবে ভোট প্রচারে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বলেছেন ঠিক উলটোটাই। তিনি যে মানালির মেয়ে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বারবার। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে চাপা থাকে না কিছুই। অভিনেত্রীর পুরনো ভিডিওগুলো বারবার ফিরে আসছে সামাজিকমাধ্যমে।

এবার ভারতীয় সভ্যতার হয়ে আওয়াজ তুললেন। অভিনেত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে হিমাচলি পোশাক পরে ছবি তুলে লেখেন— ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষদের হাজার বছর লেগে গেছে আমাদের সভ্যতাকে গ়ড়ে তুলতে। আমি ছেঁড়া জিনস, ছোট গেঞ্জি, পিৎজা ও বার্গার কিছু বাজার চলতি গান এসবের জন্য আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিকে নষ্ট হতে দেব না।’’ টুইটারে অভিনেত্রীর পুরনো ছবি নিয়ে যতই হইহই হোক, সেসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে যাননি অভিনেত্রী। ভোটে জিতলে মান্ডির জন্য ঠিক কী করবেন? অভিনেত্রীর কথায়— ‘‘আমি সংসদ সদস্য হলে হিমাচলের খাবার, সংস্কৃতি, পোশাক, গান এবং এখানকার প্রকৃতির কথাই তুলে ধরব।’’

LEAVE A REPLY