দোহায় হামাসের কার্যালয় বন্ধ করে দিতে পারে কাতার

আলোচনার মাধ্যমে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলামন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। 

এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে দেশটির সরকার। যার ভিত্তিতে রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যলয় থাকবে নাকি তা বন্ধ হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের এক কর্মকর্তা।

কাতার সরকারের পর্যালোচনা সম্পর্কে অবগত একজন কর্মকর্তা শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, হামাসকে তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনা অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করছে কাতার। সেই সঙ্গে কাতার সরকার আরও কিছু বিষয় নিয়েও পর্যালোচনা করছে। যার মধ্যে গাজা যুদ্ধ অবসানে দেশটিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে নাকি হবে না, সেটাও রয়েছে।

গত মাসেই কাতার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি কাতার মধ্যস্থতায় না থাকে তবে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় রাখার কোনো মানে সরকারের কাছে থাকবে না। বিষয়টি তাই তারা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে।

যদি হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাতার সরকার সেক্ষত্রে হামাস নেতাদেরকে তারা দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেবে কিনা এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

গাজা যুদ্ধ বন্ধের চলমান আলোচনায় ইসরাইল ও হামাস কিভাবে সাড়া দেয় তার উপর কাতারের নিজস্ব মূল্যায়ন অনেকখানি নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ২০১২ সাল থেকে কাতার হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

LEAVE A REPLY