ইসরাইলে হামলার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের প্রদর্শনী করল ইরান

গত ১৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ইসরাইলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালায় ইরান। ওই হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সম্প্রতি এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দেশটি।  

তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে রেভল্যুশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর স্থায়ী ওই প্রদর্শনীতে কয়েক ডজন দূরপাল্লার ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দেখানো হয়। এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য যেন ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখানো।

সেই প্রদর্শনীতে লেজার রশ্মি (লেজার পয়েন্টার) ব্যবহার করে অস্ত্রগুলো দেখাচ্ছিলেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী বেলালি।  এ সময় বেলালিকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ছিল।’

ইরানের প্রদর্শনীটি ছিল বিমান ও আকাশপথে তেহরানের সক্ষমতা দেখানোর আয়োজন। গত মাসে ইসরাইলে হামলা করার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রও সেখানে প্রদর্শন করা হয়। সিএনএনকে এই প্রদর্শনী দেখার বিরল অনুমতি দেওয়া হয়। ইরান মার্কিন গণমাধ্যমকে এমন অনুমতি কখনো দেয় না।

ইসরাইলে হামলার সময় ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইরান। ওই দিন রাতে ইসরাইল যখন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে হামলা প্রতিরোধ করে, তখন দেশটির বিভিন্ন শহরের আকাশে ছিল আলোর ঝলকানি। 

হামলা প্রতিরোধে ইসরাইলের বিমানবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান। তারা সাধ্যমতো ইরানের অসংখ্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া ৯৯ শতাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মিত্রদের সহায়তায় প্রতিহত করা হয়েছে। অল্প কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পৌঁছায়।

তবে ইরানের দাবি, তারা ইসরাইলের অন্তত দুটি স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে নেগেভ মরুভূমির নেভাতিম বিমানঘাঁটি রয়েছে। 

১৯৮৮ সালে শেষ হওয়া আট বছরব্যাপী ইরান-ইরাক যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র কমান্ডার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার বেলালি। 

সিএনএনকে তিনি বলেন, এখন আমাদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে শক্তি এবং ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলার সময় বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইরানের একটি বড় সাফল্য।

LEAVE A REPLY