ঝিনাইদহ-১ আসনের ঘোষিত উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। নির্বাচন কমিশন এবং অন্য এক পক্ষের আবেদনে শুনানির পর আজ বুধবার (৮ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে ইসির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা থাকছে না।’
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৫ জুন ভোটের তারিখ গত ২৩ এপ্রিল এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গত ২৫ এপ্রিল এ তফসিল স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে মোট প্রার্থী হয়েছিলেন ছয়জন। তারা হলেন- তৃণমূল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মজুমদার (সোনালী আঁশ), জাতীয় পার্টির মনিকা আলম (লাঙল), আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিচুর রহমান (আম), স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক) ও মুনিয়া আফরিন (ফুলকপি)।
গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পরদিন ঝিনাইদ-১ আসনে প্রদেয় ভোটের ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ উল্লেখ করে আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে আবদুল হাইয়ের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম দুলালের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট। ১৩ হাজার ৮৩২ ভোট বেশি পাওয়ায় আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে কারসাজি হয়েছে অভিযোগ তুলে পরদিনই ফলাফল বাতিল চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন নজরুল ইসলাম দুলাল। কাজ না হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
কিন্তু কমিশন আবেদন নথিভুক্ত করে রাখলেও তা নিষ্পত্তি না করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৪৯ ধারায় তিনি হাইকোর্টে নির্বাচনী আবেদন করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সে আবেদনে শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ কারণ দর্শানোর নোটিশসহ আদেশ দেন। অন্তর্বর্তী আদেশে আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন আব্দুল হাই। শুনানির পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে শপথ নিয়ে সংসদে বসেন আবদুল হাই।
বিস্তারিত আসছে…..