ভৈরবের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮৫

ভৈরবে দুপক্ষের সংঘর্ষ, ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৮৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুতর আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এবং বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আগানগরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

পুলিশ জানায়, আগানগরের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোমতাজ মিয়ার বংশের লোক শুক্কুর আলীর গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশারের বংশের লোক আক্কাছ আলীর গ্রুপের লোকজন গ্রামের আধিপত্য বিস্তার ও স্থানীয় জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন কমিটি গঠন দ্বন্দ্বে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠি, হকস্টিক নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে।

তবে গ্রামবাসীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালু উত্তোলনের ড্রেজারের পাইপলাইন বসানো নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হন। এ ঘটনার জেরে বুধবার দুপক্ষে ফের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৫০ জন আহত হন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুল হামিদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগানগর ইউনিয়নের আনন্দবাজারে আগানগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তরপাড়ার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি এবং ব্যাপারী বাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি নিয়ে পুরো গ্রাম দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আগানগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সরুল্লা বাড়ির নেতৃত্ব দেন আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মমতাজ উদ্দিন।

এছাড়া উত্তরপাড়ার ব্যাপারী বাড়ির নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন ও আক্কাছ আলী। সুমন জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY