পূর্ণিমা/‘এটা আমার জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ’

আজ (১২ মে) নতুন করে গঠন করা হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই ১৫ সদস্যর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আছেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সন্ধ্যায় কথা বলেছেন কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে।

সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন।

অনেক ধন্যবাদ। আসলে এটা একটা নতুন দায়িত্ব। আমি মনে করি খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

খবরটা কী আপনি আগে থেকেই জানতেন?

একদমই না। আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না এমন সংবাদের জন্য। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ভাই আমাকে প্রজ্ঞাপনটা পাঠান। সেটা পেয়ে আমার নামটা বারবার দেখছিলাম।

ভুলে লিখেছে কি না সেটাও ভাবনায় ছিল। তাই দেখে বারবার নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এটা কিভাবে সম্ভব হলো? কারণ বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কখনো কারো আলোচনাও হয়নি। সেন্সর বোর্ড বা মন্ত্রণালয় থেকে যারা আমার কথা ভেবেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ।

মোটামুটি কম বয়সেই এমন একটা দায়িত্ব পেলেন। এটার কারণ কী বলে আপনার মনে হয়?

এটা তো আমি বলতে পারব না। কারণ যারা আমাকে নির্বাচন করেছেন তারা বলতে পারবেন। তবে আমার মনে হয়, আমি ২৬ বছর ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছি, এই ২৬ বছরের ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি সেসব দিক তারা বিবেচনায় নিয়েছেন। তা ছাড়া এত দিনের ক্যারিয়ারে সেন্সর বোর্ড সম্পর্কে একটা ধারণা তো আছেই। একটা সময় আমার নতুন ছবি এলে অপেক্ষায় থাকতাম যে আনকাট সেন্সর পেয়েছে কি না। এখন নিজেই সেন্সর বোর্ডে বসব অন্যদের আনকাট সেন্সর দেওয়ার জন্য। বলতে পারেন আমার ক্যারিয়ারে নতুন কিছু যুক্ত হলো।

এখন তো অনেক ছবি দেখতে হবে, তাই দেখার বেলায় কোন দিকটি গুরুত্ব দেবেন?

এখনো তো আমি শুরু করিনি। পুরো বোর্ডে কিন্তু আমার সিনিয়র অনেকেই আছেন। অনেক অভিজ্ঞ শিল্পীরা আছেন। আমি তো একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। স্পষ্ট ও সুন্দর ভাষার ছবি, আমার দেশের দর্শকদের উপযোগী ছবিকেই গুরুত্ব দেব।

1
পূর্ণিমা। ছবি: ফেসবুক

কিন্তু আপনি তো নিশ্চয় জানেন, গেল কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ছবি সেন্সরে আটকে আছে। এগুলো নতুন করে দেখে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেবেন কি?

আমি তো আসলে এককভাবে এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আর যেগুলো আটকে আছে সেগুলো কিন্তু আগের বোর্ডের সদস্যরা কোনো না কোনো কারণে সেন্সর দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। তাই আদৌ আমরা কিছু করতে পারব কি না, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।

ঈদে আপনার একটি নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আপনাদের সেভাবে প্রচারণায় দেখা যায়নি। কারণ কী?

হ্যাঁ, এবারের ঈদে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এত দিন পরে আমার একটা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে; কিন্তু সেভাবে আলোচনায় এলো না। এটা আমার জন্য খারাপ লাগার। এমনকি আমি জানতামও যে এটা ঈদে রিলিজ দেবে। জানলে হয়তো মানা করতাম। আর ওই সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। তাই প্রচারণারও সুযোগ পাইনি।

নতুন কোনো কাজের সঙ্গে ‍যুক্ত হয়েছেন কি?

নাহ। আপাতত বলার মতো তেমন কিছু নেই। তবে একটা কথা বলতে চাই, অনেকেই মনে করেন আমি হয়তো কাজ করছি না। সেদিন একজন বলল, অনেকে নাকি আবার যোগাযোগ করতেও ভয় পান। কিন্তু ভাই, আমি কাজ করতে চাই। আমি যেহেতু একজন অভিনেত্রী তাই সবার আগে কাজটাকে গুরুত্ব দেব। 

গতকাল (১১ মে) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির একটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ছিল। আমাদের ধারণা ছিল সেখানে আপনার উপস্থাপনা করবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে আপনাকে দেখা যায়নি।

সেখানে আমার উপস্থাপনা করার কথা ছিল; কিন্তু শেষমেশ হয়নি। আসলে যেকোনো উপস্থাপনায় আমি আর ফেরদৌস একসঙ্গে করতে পারলে সেটা মানুষ পছন্দ করে। কিন্তু ফেরদৌসের ব্যস্ততা ছিল। এ কারণে আর করা হয়নি।

LEAVE A REPLY