মাশরাফি বিন মর্তুজা পুরো ক্রীড়াঙ্গনেই ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁর সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে তাঁকে সম্পৃক্ত করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। গতকাল এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন অন্য খেলা নিয়েও তাঁর ভাবনার কথা।
প্রশ্ন : ক্রিকেট যেভাবে এগোচ্ছে দেশের অন্য খেলাগুলো তো সেভাবে এগোচ্ছে না, এ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
মাশরাফি বিন মর্তুজা : আসলে সব কিছুর সমন্বয় দরকার। স্পোর্টস এমন একটা জিনিস, যেখানে বিনিয়োগ প্রয়োজন। আবার বিনিয়োগ করতে গেলে সেটা আলোচনায় থাকতে হবে। এখানে মিডিয়াও জড়িত।
এটা সত্যি বিনিয়োগ যত থাকবে, তত খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, খেলোয়াড়ও উঠে আসবে। আজ কাবাডিসহ বিভিন্ন খেলায় খেলোয়াড়রা উঠে আসছে কারণ তাতে ওরা এখানে একটা সরকারি চাকরি পেতে পারে। সেই সুযোগ বন্ধ করে দেন খেলোয়াড় উঠে আসাও কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : আপনি তো এখন সরকারেরই অংশ এবং আপনার খেলোয়াড়ি ব্যাকগ্রাউন্ড, এখানে আপনার ভূমিকা কী হতে পারে বা আর কী কী করা যেতে পারে?
মাশরাফি : আমি সব সময়ই বলে এসেছি আমাদের সব ধরনের খেলাতেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।
ক্রিকেট বোর্ড অনেকাংশেই স্পন্সরশিপের ওপরে চলে। এখানেও তৃতীয় ওই পক্ষটা লাগবে। তা ছাড়া এগোনো খুব কঠিন। অন্যান্য দেশে নায়ক, নায়িকা বা সাবেক খেলোয়াড়রাও এগিয়ে আসছেন, তাঁরা দল কিনছেন। এখানে সেই অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।
প্রশ্ন : ফেডারেশনে নেতৃত্ব সংকট আছে মনে করেন কি?
মাশরাফি : সেটিও না। এই যে কাবাডিতে এখানে এত মানুষ আছে, তার মানে এখানে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আজ কাবাডিতে এটা হয়েছে। আবার দেখেন, মেয়েরা সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ওদের নিয়ে এখন যদি আরো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা যায়, তাহলে ওরাও এগিয়ে যাবে।
প্রশ্ন : সংবাদ সম্মেলনে অলিম্পিক পদকের বিশালত্ব নিয়ে বলছিলেন…
মাশরাফি : হ্যাঁ, পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক। আমরা ওখানে হিটেও টিকিনি। পাশের দেশ ভারত এখন পদক পাওয়া শুরু করেছে, এমনকি সোনাও পেয়েছে। আমরা যদি এমন পদক পাওয়ার মতো অবস্থায় যেতে পারি তাহলে সেটা সারা বিশ্বে বড় খবর হবে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতছে, বিশ্বে সেটার কিন্তু সেভাবে নাম হয় না। অবশ্যই বাংলাদেশ জিতলে সেটা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার হবে। তবে অলিম্পিকে যদি কিছু হয় সেটা বাংলাদেশের নাম সারা বিশ্বে ছড়াবে।
