যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হারল বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

 ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে কাজ চালানোর ব্যবস্থায় সম্প্রচারের মান প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার মতোই। অবশ্য হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ বিশ্বকাপের আগে প্রশ্ন তুলে দিলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্য নিয়েও। ব্যাটিং নিয়ে নিত্য ভুগে যেতে থাকা দল তবু জয়ের তীরই দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু হারমিত সিংয়ের মারে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যুক্তরাষ্ট্রই শেষপর্যন্ত জয়ের কোলে চড়ে বসে সিরিজে এগিয়ে গেল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের দেখায়ই বাংলাদেশকে তাঁরা ৩ বল বাকি থাকতে হারালো ৫ উইকেটে। স্বাগতিকরা রান তাড়া শুরুর আগেই বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন আরো উচ্চকিত হয়। কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে ১৬০-৬৫ রান তুলতে পারাকে যে দল নিজেদের সাধ্যসীমা বলে ধরে আসছে, তাঁদেরই এবার মেরে-কেটে দেড়শো করতে ঘাম ছুটে গেল। তবু মাত্র ১৫৩ রানের পুঁজি নিয়েও একটা সময় পর্যন্ত নিজেদের নিরাপদ বলেই মনে করাচ্ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা।

বিশেষ করে দ্বাদশ ওভারে তিন বলের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরানোর পর।  
তবে সেখান থেকেও হারের দুয়ার খুলে যায় হারমিতের ব্যাটে। একই ওভারে মুস্তাফিজকে মারা দুই ছক্কা এবং পরের ওভারে শরিফুল ইসলামকে একটি করে ছক্কা ও চারের মারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জেতার সমীকরণ অনেকটা সাধ্যের মধ্যেই নামিয়ে আনেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১২ বলে লাগতো ২৪ রান।

সেই সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক কোরে অ্যান্ডারসনও উইকেটে থাকায় বাংলাদেশ শিবিরে হারের ভীতি ছড়িয়ে পড়া বিচিত্র ছিল না।
অ্যান্ডারসনও সত্যি সত্যিই ভীতিকর হয়ে ওঠেন। ১৯তম ওভারে একাধিক ওয়াইড বল করা মুস্তাফিজকে মারেন ছক্কাও। ওই ওভার থেকে আসা ১৫ রানে শেষ ৬ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৯ রানের। এই ম্যাচে মাহমুদ উল্লাহকে দিয়ে বোলিং ওপেন করানো নাজমুল হোসেন শান্ত শেষ ওভারেও বল তুলে দেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের হাতে।

কিন্তু প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ২৫ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করা অ্যান্ডারসন। আর মাত্র ১৩ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ম্যাচ জেতানো ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলা হারমিত সারেন বাকি আনুষ্ঠানিকতা। ম্যাচ সেরা হওয়া এই ব্যাটারের মার দ্বিতীয় চারটিই যে ছিল উইনিং স্ট্রোক।      
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ২৪ রান তোলা বাংলাদেশ ৬ ওভার শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনারকে। এই ম্যাচ দিয়ে লিটনের (১৫ বলে ১৪) দু:সময়ও আরো প্রলম্বিত। সেই সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’রও (১১ বলে ৩)। ১২ বলে ৬ রান করা সাকিব আল হাসানের রানআউটে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলে পরিণত হওযার পর তাওহিদ হূদয় (৪৭ বলে ৫৮) এবং মাহমুদ উল্লাহর (২২ বলে ৩১) ব্যাটে চড়ে দেড়শো পার করলেও হারমিত-অ্যান্ডারসনের শেষের মারে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ। 

LEAVE A REPLY