বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা আজ বুধবার। বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই রাতেই তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান লাভ করেন। তাঁর মৃত্যুও হয়েছিল এই রাতে।
দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে এই উৎসব উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এই তিথিকে বলা হয় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত পূর্ণিমা। এর অন্য নাম বৈশাখী পূর্ণিমা। আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই দিবস বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে।
তারা স্নান করে শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকে। ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। ফুলের মালায় সুশোভিত মন্দিরে তারা বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হয়। বুদ্ধপূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনাও করে থাকে তারা। সারা দেশে সাড়ম্বরে উৎসব আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন ও বাসাবো সবুজবাগ বৌদ্ধ বিহার দিবসটি উৎসবমুখর ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান ও আলোচনাসভা। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে প্রতীকী শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা।