টানা চতুর্থবারের মতো সংসদে যাচ্ছেন শতাব্দী

শতাব্দী রায়

দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে সাতটি দফায় লোকসভা নির্বাচন চলার পর মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন বারের সংসদ সদস্য শতাব্দী রায় এবারও ছিলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী। গত বছরের জয়ের ব্যবধানকে কার্যত টেক্কা দিয়ে এই বছর এক লক্ষ নব্বই হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন শতাব্দী রায়। এ নিয়ে চতুর্থবারের জন্য সংসদে যাচ্ছেন শতাব্দী।

অনুব্রত মণ্ডল-হীন রাঙামাটির দেশে এই জয় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শতাব্দীর জন্য। অনুব্রত যখন বীরভূমে ছিলেন, অনেকেই বলতেন শতাব্দীর সঙ্গে তার সম্পর্ক মধুর নয়। তিনি সংসদ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও কোনো জেলার কর্মসূচিতে ডাক পান না বলে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি একটা সময় এমনও বলা হয়েছিল, শতাব্দী দলের থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন।

যদিও সেসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শতাব্দী ভীষণভাবে তৃণমূলের সঙ্গেই থেকে গেছেন। বারবার তিনি বলেছেন, এটাই তার দল।

এরই মধ্যে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তার হওয়া, জেল হেফাজত এবং তারপর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দিল্লির তিহার জেলে যাওয়ার ঘটনাক্রমে বীরভূমে হাওয়া ঘুরতে শুরু করে। জেলার কোর কমিটিতে শতাব্দী রায়ের ক্ষমতা বাড়ে।

দায়িত্বও বাড়ে জেলার রাজনীতিতে। 

দীর্ঘদিন বীরভূমের সংসদ সদস্য হওয়ায় এই কেন্দ্র তার হাতের তালুর মতো চেনা। তবু ভোট প্রচারে নেমে এবার বারবার শতাব্দীকে ভোটারদেরই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এমনকি ভোটের দিনও এমন ঘটনা ঘটে। যদিও শতাব্দী বলেছিলেন, কারও বক্তব্য থাকলে তা তো তিনি জানাবেনই।

এটা ক্ষোভ-বিক্ষোভের বিষয় নয়। সেই শতাব্দী আবারও সংসদে যাচ্ছেন এবার।

LEAVE A REPLY