‘নিপুণের পার্লারে কী হয়’, প্রশ্ন করলেন ডিপজল

ডিপজল ও নিপুণ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে লড়াই যেন থামছেই না! একদিকে যেমন চলছে আইনি লড়া, অন্যদিকে দুই পক্ষের কথার লড়াইও চলছে সমানতালে। এর আগে ডিপজলকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নিপুণ। জবাব দিয়েছিলেন ডিপজলও। এবার এক সাক্ষাৎকারে নিপুণকে নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন ডিপজল।

তিনি বলেন, ‘নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে আমি ভুল করেছি। এ ধরনের মেয়েকে আনা উচিত হয় না।’

ডিপজল বলেন, ‘নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে ভুল করেছিলাম আমি। এখন থেকে তাকে আমি চিনি না।

শিল্পী সমিতির চেয়ারে টাকা-পয়সা বলে কিছু নেই। এটা একটা ইজ্জত। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি।

তাই এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী? আমি যে সিনেমা করছি, এটাই কি আমার মূল্য ব্যবসা? না, এটা আমর মূল্য ব্যবসা না। শুনলাম, নিপুণ পার্লার দিয়েছেন। কী পার্লার এটা? সেই পার্লারে গিয়ে আপনারা দেখেন, সেটা কেমন পার্লার। সেখানে কী হয়।

এ বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনের পর ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন নিপুণ। একসঙ্গে মিলে কাজ করার কথাও জানান তখন তিনি। তবে হঠাৎ করেই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে রিট দায়ের করেন তিনি। নিপুণের সেই রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালত। ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। 

গত ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

LEAVE A REPLY