‘রোমান্টিক দৃশ্যে অপূর্ব ভাইয়ার চেয়ে ভালো আর কেউ নেই’

তানজিম সাইয়ারা তটিনী

ঈদের নাটক-টেলিছবির শুটিংয়ে দম ফেলার ফুরসত নেই তানজিম সাইয়ারা তটিনীর। এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী যে তিনি! ঈদের নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন হৃদয় সাহা।

কোন নাটকের শুটিং করছেন?

একটি ঈদের নাটক, নাম ‘লাভ-সাভ’। পরিচালনায় প্রবীর দাদা [প্রবীর রায় চৌধুরী]।

এবারই প্রথম তাঁর নির্মাণে অভিনয় করছি। আমার সঙ্গে আছেন তৌসিফ মাহবুব ভাই। আমরা যাঁরা এ সময়ে অভিনয় করছি, তাঁদের সবারই বিশেষ ইচ্ছা থাকে প্রবীর দাদার সঙ্গে কাজ করার। তিনি খুব সুন্দরভাবে রোমান্টিক গল্প বলেন।

আমারও ইচ্ছা ছিল তাঁর সঙ্গে কাজ করার, অবশেষে তা পূরণ হলো। শুটিংয়ে এসে মনে হয়েছে, পুরো সিনেমাটিক আবহে কাজ করছি। তাঁর নাটকের সেট ডিজাইন থেকে শুরু করে সব আয়োজন অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি যেমন নিজের নির্মাণটা উপভোগ করেন, অভিনয়শিল্পীরাও যাতে কাজটা উপভোগ করতে পারেন—সেই চেষ্টাও করেন।

সমসাময়িক কিংবা সিনিয়র অনেক অভিনেতার সঙ্গেই আপনার জুটি দর্শক পছন্দ করছে। ব্যাপারটা কেমন লাগে?

আমি খুবই ভাগ্যবান। দর্শক সবার সঙ্গেই আমাকে গ্রহণ করছে। সহশিল্পী কে হবেন, এটা তো আমার সিদ্ধান্ত নয়, পরিচালকই ঠিক করেন। তাঁরাই দেখেন জুটি হিসেবে কার সঙ্গে কাকে ভালো মানাবে।

আমার কাছে সবাই ভালো সহশিল্পী। যেমন—অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে আমার বয়সের ব্যবধানের কারণে কেউ কেউ ‘অসম জুটি’ বলেন। আমি বলব রোমান্টিক দৃশ্যে অপূর্ব ভাইয়ার চেয়ে ভালো আর কেউ নেই। তবে আমি সবার সঙ্গেই কাজ করতে চাই।

এ সময়ের নাটকের নাম, সংলাপ, দৃশ্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন?

বর্তমানকে ভালো না বলে অতীতকে ভালো বলা—এটা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। এই যেমন এখন বলছে, ১০ বছর আগের নাটক ভালো ছিল। আবার ১০ বছর পরে বলবে, এই সময়ের নাটক ভালো ছিল। আসলে ভালো-খারাপ সব সময়ই হয়েছে। এখনো ভালো নাটক হচ্ছে, তা না হলে দর্শক দেখছে কেন! আর নাটক ভালো লাগছে বলেই তো দর্শক আমাদেরও পছন্দ করছে।

তিন দিন আগেই [৬ জুন] আপনার নতুন নাটক এসেছে ইউটিউবে—‘তোর জন্য মরতে পারি’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

এটা রিংকু ভাইয়ার (রাফাত মজুমদার রিংকু) নাটক। গল্পে আমি গ্রামের মেয়ে, কলেজছাত্রী। কলেজে একজনের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। গ্রামেরই এক ছেলে (খায়রুল বাসার) আবার আমাকে পছন্দ করে। এই ত্রিকোণ সম্পর্কের শেষটা কেমন, তা নাটক দেখলে বুঝতে পারবে দর্শক। ইউটিউব চ্যানেলটি নতুন হলেও মুক্তির পর থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি।

ঈদুল ফিতরে আপনাকে বেশ কিছু নাটকে দেখা গেছে। কোরবানির ঈদে কত নাটক-টেলিছবি নিয়ে আসছেন?

এবার তুলনামূলক কম কাজ করছি, যাতে মানটা ভালো হয়। এখনই সংখ্যাটা বলতে পারছি না। তবে পাঁচ-ছয়টির মতো হবে। এর মধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ের ‘ভেতরে বাহিরে’ নিয়ে বেশ আশাবাদী। নব্বই দশকের গল্পে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ার ‘নয়ন তারা’ করেছি, সেটাও দর্শক পছন্দ করবে আশা করি। প্রবীর দাদার নাটক তো থাকছেই, রিংকু ভাইয়ার পরিচালনায় নাম ঠিক না হওয়া একটা সুন্দর গল্পে অভিনয় করেছি।

ওটিটিতে অ্যান্থলজি ছবি ‘এই মুহূর্তে’ দিয়েই আপনার শুরু। এখন আর এই মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না কেন?

নাটকে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় আর কাজ করা হয়নি। ওটিটির কনটেন্ট যে সময় নিয়ে করা হয়, এর মধ্যে আমি তিনটা নাটক করতে পারি। তাই সেখানে এমন কাজ করতে চাই, যেটা আসলে আমার ক্যারিয়ারে বিশেষ কিছু যোগ করবে। সে রকম প্রস্তাব পেলে অবশ্যই করব।

এখনো পড়াশোনা করছেন। একই সঙ্গে অভিনয় ও পড়াশোনায় সময় দিচ্ছেন কিভাবে?

ব্যবস্থাপনায় স্নাতক সম্পন্ন করেছি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে। এখন ইন্টার্নশিপ করছি। স্নাতকোত্তরও করব। তবে অত চাপ নিচ্ছি না। যখন ভর্তি হব, তখন অভিনয় ও পড়াশোনার মধ্যে সমন্বয় করে নেব।

LEAVE A REPLY