ম্যাচ জয়ে দুই সতীর্থকে কৃতিত্ব দিলেন সাকিব

সংগৃহীত ছবি

সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে সাকিবের ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানে ১৫৯ করে ডাচদের আটকে রাখে ১৩৪ রানে।

এই ম্যাচে রান খরায় থাকা বাংলাদেশের সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠেন দলের ভীষণ চাহিদায়। দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে।

তবে ওই পুঁজি নিয়েও ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যেত, যদি না কাঙ্খিত মূহুর্তে জ্বলে উঠতেন রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। জেতার কৃতিত্বটা তাই দুই সতীর্থকে দিলেন সাকিব।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সাকিব বলেন, ‘পুরো ইনিংস টেনে খেলার লক্ষ্য ছিলো তার- টপ অর্ডার থেকে কেউ একজনের পুরো ইনিংস ব্যাট করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি।

উইকেট খুব সহজ ছিলো না। আমার মনে হয় স্নায়ু ধরে রেখে আমরা ভালো পুঁজি গড়েছি। আমি বলছি না যে এটা জেতার মতন রান ছিলো, এটা চ্যালেঞ্জিং রান ছিলো।’

কাঙ্খিত সময়ে উইকেট নিয়ে ডাচদের ১৩৪ রানে বেঁধে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন বোলাররা।

তাই বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে সাকিব বলেন, ‘খেলায় তাদের (নেদারল্যান্ডস) মোমেন্টাম ছিলো। এক পর্যায়ে তারা ভালো জায়গায় চলে যায়। শেষ পাঁচ ওভারে ১০ করে লাগত, এটা যেকোনো দিকে যেতে পারত। তাদের আটকে রাখা সহজ ছিলো না। কৃতিত্বটা দিতে হবে বোলারদের।

স্নায়ু ধরে রেখেছে যেভাবে শেষ ৮ ওভারে।’

ফিজ ও রিশাদকে স্পেশাল কৃতিত্ব দিয়ে এই অলরিউন্ডার বলেন, ‘বোলাররা নিখুঁতভাবে কাজটা করেছে। বিশেষভাবে ফিজ (মোস্তাফিজ) ও রিশাদ যেভাবে বল করেছে তাতে তারা ম্যাচটা নেদারল্যান্ডস থেকে বের করে নিয়েছে।’

সেন্ট ভিনসেন্টে  ২০১৩ সালের পর থেকে আর কোনো  টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়নি। ২০১৪ সালের পর হয়নি কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ।  তাই খুব বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলতে চায়নি বাংলাদেশ, সাকিব জানালেন সেটাও,  ‘এখানে চার-পাঁচ বছরে হয়ত তেমন কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি (গত দশ বছরে হয়নি)। এজন্য বোঝা যাচ্ছিলো না কত রান নিরাপদ। আমরা তাই উইকেট রেখে ভাবছিলাম কত দূর যাওয়া যায়। এটা ভালো পুঁজি ছিলো।’
 

LEAVE A REPLY