কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আল-জাজিরাকে বলেছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন নাইরোবিতে।
তিনি আরও বলেন, নাইরোবির দুটি সরকারি হাসপাতাল হতাহতের ঘটনায় উপচে পড়েছে। এদিকে সংসদ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো পার্লামেন্ট ত্যাগ করার জন্য দখল করে নিয়েছে। এর ফলে কিছু অ্যাম্বুলেন্সে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে সহিংসতা ও ‘নির্বিচারে আটক’ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভে নিহত ও আহত হওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবও ‘অত্যন্ত দুঃখিত’।
মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বিচারে আটকের ঘটনা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুজারিক আরও বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুর সব ঘটনা যেন পূর্ণ তদন্ত করা হয়।
গুতেরেস কেনিয়ার পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের এবং বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে মঙ্গলবার ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপর পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।