কোয়ার্টার ফাইনালে রোনালদো বনাম ভক্তের লড়াই

সংগৃহীত ছবি

ইউরোয় আজ রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্স। এক অর্থে এটা রোনালদো বনাম এমবাপ্পেরও লড়াই। মাঠের বাইরে এমবাপ্পে সি আর সেভেনের ভক্ত হলেও ফুটবলের মঞ্চে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী। জার্মানির হামবুর্গে মূলত আজ হতে যাচ্ছে আদর্শ বনাম ভক্তের লড়াই।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় শুরু হবে খেলাটি।

কোয়ার্টার ফাইনালে উভয় দলই তাদের সেরা আক্রমণাত্মক ফর্ম খুঁজে পেতে মরিয়া। গ্রুপ পর্বে জর্জিয়ার কাছে হারের পর শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়াকে হারাতে টাই-ব্রেকার পর্যন্ত যেতে হয়েছে পর্তুগালকে, অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে কোনো ফরাসি খেলোয়াড় ওপেন প্লে থেকে গোল করতে পারেনি। তিন গোলের দুটি এসেছে আত্নঘাতি থেকে বাকিটা পেনাল্টি থেকে।

পর্তুগালকে হারাতে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম রদবদল আনতে পারেন মিডফিল্ডে। অরলিয়েন চুয়েমেনি ও এনগলো কান্তেকে রাখার পূর্বাভাস দিয়েছেন কোচ। আদ্রিয়ান র‌্যাবিওত সাসপেন্ড থাকায় একাদশে থাকতে পারেন এদোয়ার্দো কামাভিঙ্গা।

এই ম্যাচের মূল ফোকাস এমবাপ্পের দিকে।

যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই তারকা। শেষ আটের দ্বৈরথের আগে ফরাসি তারকা এমবাপ্পে বলেছেন, “আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে রয়েছি সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। পর্তুগাল দারুণ শক্তিশালী। ওরা যে ইউরোপের অন্যতম সেরা দল তা শেষ আটে উঠেই প্রমাণ করেছে। আমার মনে হয়, দারুণ আক্রমণাত্মক খেলা হবে।

অন্যদিকে পতুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ সম্ভবত শক্তিশালী ফরাসি মিডফিল্ডের বিপক্ষে একটু কৌশলি হবেন। জোয়াও পালিনহা, ভিতিনহা ও সেন্টার ফরোয়ার্ডের পিছনে ব্রুনো ফার্নান্দেসকে রাখতে পারেন মাঝমাঠে। 

তবে ইউরোর চার ম্যাচে এখনো গোলের দেখা না পেলেও আক্রমনে কোচ মার্টিনেজের মূল অস্ত্র এখনো রোনালদো। ফ্রান্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার ভূমিকা। শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অনেক সুযোগ নষ্ট করেছিলেন তিনি। এমনকি অতিরিক্ত সময়ে একটি পেনাল্টি কিকও মিস করেন। 

স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে উঠলেও ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অন্তত পরিসংখ্যানও ফরাসিদের পক্ষে। এখন পর্যন্ত ২৫ বারের দেখায় ফ্রান্সের জয় ১৬ টি, বিপরিতে পর্তুগাল ৬ ম্যাচে জিতেছে। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

LEAVE A REPLY