সর্বজনীন পেনশন আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল: প্রধানমন্ত্রী

সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমরা দিয়েছি এটা সবার জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র যারা সরকারি চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায়।

আর বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কীমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সার্বজনীন পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পার। যুক্ত হতে পার নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।

তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের বয়স হবে বা তার কর্মক্ষম থাকবে না। এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি, যারা আমাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার।

’ আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ সবসময়ই আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল। অনেক সময় তারা যেমন পুলিশের হাতে নির্যাতিত তাই নয়, বিএনপির অস্ত্রধারী নেতা-কর্মীরাও আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো- যুব মহিলা লীগের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তাদের সেই অত্যাচারের অনেক ছবি-চিত্র অনেক কিছুই এখনো রয়েছে। অত্যাচার নির্যাতনকালে মা-বোন বলে তারা কোনো সমিহ করেনি।

তিনি বলেন, ‘তারা এতই জঘন্য প্রকৃতির নির্যাতন করেছে যেটার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই। কারণ তারা সে সময় মানুষ নয় জানোয়ারের থেকেও অধম জীবে পরিণত হয়েছিল। তারপরও সব বাধা অতিক্রম করে প্রত্যেকটা সংগ্রামে যুব মহিলা লীগ রাজপথে থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় বাধা দিতে গিয়ে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। যাদের অনেককে ছোট বাচ্চা ঘরে রেখেও কারাগারে যেতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই আজকে আমরা সরকারে আসতে পেরেছি এবং অত্যাচার-নির্যাতন যতই হোক আমরা মাথা নত করিনি। আর আমরা একটাই জিনিষ চেয়েছিলাম গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠিত হোক।’

এ সময় খালেদা জিয়ার ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দেড় মাসের মাথায় তার পদত্যাগে বাধ্য হওয়া, দেড় কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁকে প্রেফতার করা হলে তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন এবং স্বাক্ষর সংগ্রহে যুব মহিলা লীগের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

এরআগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব মহিলা লীগের নেতারা ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।

২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।

LEAVE A REPLY