তাইওয়ানের আকাশে ৩৭ চীনা বিমান, কী বললেন লাই চিং

তাইওয়ানের আকাশে আবারও ঘুরতে দেখা গেল ৩৭টি চীনা বিমান। এমনটাই জানিয়েছে তাইপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে ফাইটার জেট, বোমারু বিমান এবং ড্রোনসহ মোট ৩৭টি চীনা বিমান শনাক্ত করা হয়েছে। 

এ সময় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বিমানবাহী রণতরী দ্বীপের আশপাশে অনুশীলন করতে যাচ্ছিল। খবর এএফপির।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিদিনই স্বশাসিত অঞ্চলটিতে ফাইটার জেট, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি দেখা যায়। এটি দক্ষিণ চীনা উপকূল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ৩৭টি বিমানের মধ্যে ৩৬টিই তাইওয়ান প্রণালীর সংবেদনশীল রেখা অতিক্রম করেছে। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিমানটি আমাদের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব আকাশসীমার মধ্য দিয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে রওয়ানা হয়েছে যৌথ সমুদ্র ও বিমান প্রশিক্ষণ পরিচালনায় জন্য।’ 

এদিকে ফিলিপাইনের সামরিক জনবিষয়ক বলেছেন, তারা ফিলিপাইন সাগরে চীন-রাশিয়ার মহড়ার খবর পেয়েছেন। কর্নেল জেরক্সেস ত্রিনিদাদ বুধবার বলেছেন, ‘(ফিলিপাইনের) সার্বভৌম অধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব।’

উত্তপ্ত বিতর্কিত দক্ষিণ চীনসাগর নিয়ে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় ম্যানিলা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। 

উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন বারবার নিজেদের শক্তির প্রয়োগ দেখিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটিতে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। মে মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পর চীন তাইওয়ানের ওপর এই মহড়াকে ‘শাস্তি’ হিসাবে উল্লেখ করেছিল। 

এ বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেইজিংয়ের বিমান এবং জাহাজগুলোও দ্বীপের এখন কাছাকাছি চলে এসেছে। বুধবার প্রকাশিত একটি চিত্রে দেখা গেছে, কয়েকটি বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে মাত্র ৩৯ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। 

বুধবার লাই তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউটের নতুন পরিচালক রেমন্ড গ্রিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় তিনি ‘নিজেদের অংশীদারিত্ব … চীনের বারবার উসকানি এবং তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের প্রচেষ্টার মধ্যে জোর দেন। 

গ্রিন বলেন, ‘ওয়াশিংটন তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষমতাকে জোরালোভাবে সমর্থন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ভাগ করা স্বার্থ রয়েছে। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক।’

LEAVE A REPLY