মেসিরা খেলেছিলেন দি মারিয়ার জন্য

আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন এটিই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। এখন শেষ ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে আনহেল দি মারিয়া। আরেকটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস এসেছিল যে আসর থেকে, সেই গত কোপার ফাইনালে গোল করা দি মারিয়াকে আরেকটা ফাইনাল দিয়েই বিদায় দিতে চেয়েছিলেন তাঁর সতীর্থরা।

কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনাল শেষে আবেগী দি মারিয়াই সামনে এনেছেন সে কথা, ‘ম্যাচের আগে দলের সবাইকে উদ্দেশ করে লিও (লিওনেল মেসি) বলেছিল এই ফাইনালে তারা উঠতে চায় আমার জন্য, যেটা আমাকে গর্বে ভরিয়ে দিয়েছে। আমার ক্যারিয়ারের এই শেষ বেলায় যা যা অর্জন তার সব কিছু নিয়েই আমি গর্বিত।’ বিদায়টা তাই যেভাবে চায় সবাই, তেমনই হচ্ছে এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের। অশ্রুসজল চোখে সেটিও বলেছেন দি মারিয়া, ‘মাথা উঁচু করে সামনের দরজা দিয়েই বিদায় নেব আমি।

আমি যা যা করেছি, যেভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি এই জার্সিতে, তার জন্যই এই দরজা দিয়ে বের হব আমি। আমি শুধু চেষ্টা করে গেছি নিজের সর্বস্বটা দিয়ে। ফল কখনো হয়তো মেলেনি প্রত্যাশামতো। তবে দেরিতে হলেও একসময় তা আমার কাছে ধরা দিয়েছে।

গত কোপাই শুধু নয়, গত বিশ্বকাপ ফাইনালেরও অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন এই আর্জেন্টাইন। এবারের ফাইনালে যা-ই ঘটুক, সেটিই হয়ে থাকবে তাঁর ম্যাচ। দি মারিয়ার মতো মেসি স্পষ্ট করেননি তাঁর অবসর ভাবনা। কিছুদিন আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একই রকমভাবে উপভোগ করে যাচ্ছেন তিনি খেলাটা। তবে এবারের কোপার ফাইনালে উঠে ৩৭ বছর বয়সী মেসির কণ্ঠেও বিদায়ের সুর, ‘গত কোপা আমেরিকা বা গত বিশ্বকাপের মতোই লাগছে আমার কাছে সব কিছু।

এগুলোই আমার শেষ লড়াই। তাই পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করছি।’ পরে লিওনেল স্কালোনির কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই ‘শেষ লড়াই’ নিয়ে। আর্জেন্টাইন কোচের উত্তর, ‘ওকে (মেসি) এ নিয়ে ওর মতো থাকতে দিন। ও জানে যে আমরা কখনোই ওকে বিদায় দেওয়ার জন্য তৈরি নই। ও যত দিন খুশি এই দলের সঙ্গে থাকতে পারে। এমনকি অবসরের পরও…। তাই ওর নিজের মতো করেই ওর সিদ্ধান্তটা নিতে দিন।’

কোপা, বিশ্বকাপ আবার কোপা—টানা তিনটি বড় আসরের শিরোপা জেতার সুযোগ এখন মেসি, দি মারিয়া আর তাঁদের সতীর্থদের সামনে। ফাইনালে উরুগুয়ে বা কলম্বিয়ার অপেক্ষায় তাঁরা। এএফপি

LEAVE A REPLY