সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থ দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনকারীরা। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে স্রোতের মতো ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে বাংলামোটরগামী সড়কে দফায় দফায় মিছিল করেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন।
রাজধানীর নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব ও আগারগাঁওয়েও পুলিশ বাধা দিয়েছে। আগারগাঁওয়ে সংঘর্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এ সময় ২৬ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এছাড়া বরিশাল ও কুষ্টিয়াসহ আরও কয়েকটি জায়গায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা ও বাধার প্রতিবাদে আজ বিকাল ৪টায় সারা দেশে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই শাহবাগসহ আশপাশের সড়কে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পুলিশি ব্যারিকেডে শাহবাগসহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমন কথা জানিয়েছিলেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, বেলা সাড়ে ৩টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। দুপুরের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শুরু করতে কিছুটা দেরি করেন। তারা সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ের দিকে এগিয়ে যান।
বিকাল ৫টার পর থেকে শাহবাগ মোড়ে আরও অনেক শিক্ষার্থী জড়ো হন। শিক্ষার্থীদের আটকানোর জন্য পুলিশ শাহবাগ থেকে বাংলা মোটরগামী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া, ‘গো ব্যাক গো ব্যাক’সহ নানা স্লোগান দেন। সেখানে রাখা দুটি সাঁজোয়া যান ও জলকামানের ওপরে উঠে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ গাড়ি দুটি সরিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকে শাহবাগ, বাংলামোটর, হাইকোর্টে, নীলক্ষেতসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে শাহবাগের আশাপাশের সব সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। এতে স্থায়ী কোনো সমাধান দেখি না। আমরা চাই সরকারের নির্বাহী বিভাগ একটি কমিশন গঠন করে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ করুক। আমরা বলেছি, সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত সারা দেশে আন্দোলন চলবে।
শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা : বিকাল ৪টায় শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও গুলিস্তানে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণা রহমান বলেন, কোনো বাধা আমাদের আটকাতে পারবে না। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।
শেকৃবিতে সংঘর্ষে আহত ১০ : বিকালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেটে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন পুলিশ সদস্যসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিন শিক্ষার্থীকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাবে পুলিশি বাধা : আন্দোলনকারীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এবং নীলক্ষেত মোড়ে গেলে পুলিশের বাধায় কোথাও বসতে পারেনি। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। এ বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক বন্ধ করে কেউ অবস্থান নিতে পারবে না। জনদুর্ভোগ এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
আজ সারা দেশে বিক্ষোভ : আজ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়ে চার ঘণ্টা পর রাত ৯টায় শাহবাগ থেকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাব, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, এর প্রতিবাদে আগামীকাল (আজ) আমরা সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করব।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের আংশিক রায়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটার সংস্কার করতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে শেকৃবিতে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? শাবিপ্রবিতে হামলা করা হয়েছে, চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে। যারা হামলা করেছে, তারা অতি উৎসাহী। সেই পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করার অনুরোধ পুলিশের : শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের পক্ষে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
কুমিল্লায় সংঘর্ষে আহত ২৬ : বেলা সোয়া ৩টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে আনসার ক্যাম্পসংলগ্ন স্থানে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আবাসিক হল ও মেসের প্রায় ৭০০-৮০০ শিক্ষার্থী এসে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে শটগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ইত্তেফাকের সংবাদদাতা মানছুর আলম অন্তর, আমাদের সময়ের অনন মজুমদার, এখন টেলিভিশনের মাসুদ আলমসহ প্রায় ২৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে হল থেকে আরও ৫০০-৬০০ শিক্ষার্থী এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন। থেমে থেমে ২ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাসড়কের কোর্টবাড়ি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সরে যেতে বাধ্য হয় এবং বিকাল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।
চট্টগ্রামে পুলিশের লাঠিচার্জ : দুপুর আড়াইটা থেকে চট্টগ্রামের বটতলী রেলস্টেশনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা রেললাইন অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ রেললাইন থেকে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টাইগারপাস এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা ধস্তাধস্তি হয়। সড়ক অবরোধ করতে না পারলেও পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কে কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নিলে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে আবারও একত্রিত হয়ে সেখানে অবরোধ করেন তারা। এতে নগরীর একাংশে যান চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
এদিকে নগরীতে লাঠিচার্জের খবরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা এক নম্বর গেটে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে জড়ো হতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারা নগরী থেকে উত্তর চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি যাওয়ার সড়কটি অবরোধ করেন। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীরা : পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ৩ ঘণ্টা অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেন সাভার হাইওয়ে থানা এবং আশুলিয়া থানা পুলিশের শতাধিক সদস্য।
এ সময় তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয় ফটক। বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রধান ফটকে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রক্টরিয়াল বডি ও ফটকের বাইরে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। প্রায় ১০ মিনিটের মুখোমুখি অবস্থান শেষে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কের উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এছাড়া পুলিশের নিয়ে আসা একটি জলকামান কয়েকটি ট্রাক দিয়ে আবদ্ধ করে রাখেন। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে কোটা সংস্কারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজারসংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নেন। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা রেললাইন অবরোধ করে রাখেন।
ইবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা : বিকাল ৪টায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে শেখপাড়া বাজার ঘুরে এসে প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনরতরা।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ : বিকাল পৌনে ৪টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গেটে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন।