দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে।
গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, হঠাৎ করে ইন্টারনেট গতি কমে গেছে। কেউ কেউ ফেসবুক ও মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারলেও বার্তা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে বিড়ম্বনা হচ্ছে। অনেকের অভিযোগ ফেসবুকে আপডেট পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও কমেন্ট করতে না পারা, একই কমেন্ট একাধিক বার হয়ে যাওয়া এবং মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ছবি আপলোড করতে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফোরজি বন্ধ থাকায় ফেসবুকে ছবি বা ভিডিও আপলোড কিংবা লাইভ করা যায় না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা পেলে এক সেকেন্ডের মধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবেই ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব জ্যামার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোনো অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জ্যামার ব্যবহার করে থাকেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি নীলক্ষেত, শাহবাগ, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন।
এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।