জয়ের উচ্ছ্বাস। ছবি : বাফুফে
প্রথম ম্যাচে ৫-১ গোলের জয়েও শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। পুরো প্রথমার্ধই তো লিডটা ধরে রেখেছিল ভুটান। দ্বিতীয়ার্ধে সাবিনা খাতুনদের অসধারণ প্রত্যাবর্তন। থিম্পুতে গতকাল আরো একবার প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের।
এদিন এক নয়, দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল পিটার বাটলারের দল। সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে ভুটানে দুই ম্যাচের প্রীতি ফুটবল শতভাগ সাফল্য নিয়েই শেষ করেছেন সাবিনারা।
তবে শুরুতেই গোল হজম করাটা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতে ভাবনার কারণ হলো বাংলাদেশ দলের জন্য। গতকাল প্রতি আক্রমণে প্রথম গোলটি হজম করে বাংলাদেশ ১৪ মিনিটে।
২১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল বাংলাদেশের রক্ষণ ভেঙেই। তবে এই দুই গোলে হতোদ্যম না হয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলেই ঘুরে দাঁড়ান মেয়েরা। ৩৪ মিনিটে সাবিনা প্রথম ব্যবধান কমান, নিচ থেকে বাড়ানো লম্বা বল বক্সের ভেতর আয়ত্তে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। বিরতির আগে সমতায়ও ফেরে বাংলাদেশ।
এবার সমন্বিত আক্রমণ থেকে সাগরিকা বল জালে জড়ান বক্সের বাঁ দিক থেকে দৃষ্টিনন্দন চিপ শটে।
ম্যাচ ২-২ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের আধিপত্যও বাড়ে খেলায়। দ্বিতীয়ার্ধের দুটি গোলই রিতুপর্ণা চাকমার। প্রথমটি ৬২ মিনিটে। বাঁদিক দিয়ে বল নিয়ে একাই বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জালে পাঠিয়েছেন।
৮৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান তিনি কর্নার থেকে। বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে সুযোগ নষ্ট করেননি এই উইঙ্গার। শেষ হাসি তাই বাংলাদেশের মেয়েদেরই।