বরিশালে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক লাঠিপেটা

বরিশালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে দফায় দফায় লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে ২ সংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা উপেক্ষা করে চলে যাওয়ার সময় ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

এ সময় জেলখানার মোড় থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ছিল যান চলাচলও। এর আগে থেকেই নগরীতে টহল দিচ্ছিল র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। প্রথমে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবিতে নগরীর সদর রোডে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ২৫/৩০ মিনিট ধরে পুলিশ দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় যুগান্তরের ফটোসংবাদিক শামীম আহমেদ ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন হৃদয় চন্দ্র শীলকে বেধড়ক পেটান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশি ধাওয়া এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অলিগলিতে আশ্রয় নিলে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে থাকা বরিশালের আদালত চত্বরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। ছাত্রছাত্রীরা এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিচ্ছিল। আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এখানেও শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েক দফায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এছাড়া নগরীর কাকলীর মোড়, বটতলা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দফায় দফায় লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছিল। তারা কোনো সহিংসতা করেনি। তারপরও শুধুশুধু ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার জিহাদুল ইসলাম জানান, আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। নগরীর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।

LEAVE A REPLY