বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০০ শ’এর বেশি নিহত হয়। আহত হয় হাজার হাজার। আর এ সংস্ক্রান্ত মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। এ নিয়ে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২ সেনেটর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নিন্দা করেছেন।
জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির সভাপতি সেনেটর বেন কারডিন এবং সেনেটর কোরি বুকার বাংলাদেশে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের উপর সহিংসতার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর নিন্দা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে সেনেটর কারডিন এবং বুকার অভিযোগ করেন, “এই সব ভয়ঙ্কর কাজ” যে সব নিরাপত্তা বাহিনী করেছে, তাদের মধ্যে একটি আধা-সামরিক বাহিনী ছিল যার প্রাক্তন কিছু শীর্ষ অফিসারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
“নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য, এবং একই সাথে বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে ও তাদের অভিযোগের সমাধান করার লক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি,” সেনেটররা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সরকারী চাকুরীতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি – যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য স্থান সংরক্ষণ করে, তা বাতিল এবং অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হাজার হাজার ছাত্র রাস্তায় নেমে আসে।
বিক্ষোভকারীদের ন্যায়সম্মত অভিযোগ নিয়ে আলোচনা না করে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবসহ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী “পাশবিক বল প্রয়োগ করে শত শত বিক্ষোভকারীকে হত্যা এবং হাজার হাজার আহত এবং গ্রেফতার করে।”
“গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তির একটি হল শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার এবং প্রতিবাদ করার অধিকার,” বিবৃতিতে বলা হয়।
“যেসব সাহসী ব্যক্তি তাদের মর্যাদা এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আন্দোলন করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে। আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকারের পক্ষে এবং যারা লঙ্ঘন করে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য কথা বলে যাব,” সেনেটর কারডিন এবং বুকার তাদের বিবৃতিতে বলেন। ভয়েস অফ আমেরিকা