চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তার সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য।

সুচেতন ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন।

তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান সুচেতন ।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব।

সে বছর ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাকে বেশ কয়েক দিন তাকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা।

দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় (সিওপিডি) ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন।

আগেও একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।

২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বুদ্ধদেব সংবাদের শিরোনামে আসেন পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে। কেন্দ্রীয় সরকার তার নাম মনোনীত করলেও, তিনি এই সম্মান নিতে অস্বীকার করেন। বুদ্ধদেবের ১১ বছরের শাসনকালের শেষ পাঁচ বছর বাংলার রাজনীতিতে নানা দিক থেকেই এক সরগরম পর্ব।

এই রাজনৈতিক উত্তাপের গোটাটাই ছিল তার শিল্পায়ন-নীতিকে ঘিরে।

যে শিল্পায়নকে বুদ্ধদেব বাজি ধরেছিলেন, সেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিই বুদ্ধদেবের পায়ের তলার জমি সরিয়ে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছর পরই শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে অবসান হয় সাড়ে ৩৪ বছরের একটানা বাম শাসনের।

সূত্র : আনন্দবাজার

LEAVE A REPLY