আমন্ত্রণ পায়নি ইসরাইল, প্রতিবাদে নাগাসাকির স্মরণসভা বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের

নাগাসাকির শান্তি স্মরণসভায় আমন্ত্রণ পাননি ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত। এর প্রতিবাদে সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার নাগাসাকি পিস পার্কে এ বছরের স্মরণসভা আয়োজন করা হয়েছে।

জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহাম এমানুয়েল জানিয়েছেন, তিনি নাগাসাকির সভায় যোগ দেবেন না।

বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রচার মাধ্যম সিএনএন।

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে প্রতি বছর শান্তি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ১০০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিবিদরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই মর্মান্তিক দিনটিকে স্মরণ করবেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরাইলকে এবারের সভা থেকে বাদ রাখা হবে বলে গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি। 

নাগাসাকির মেয়র বলেন, ইসরাইলকে বাদ দেওয়ায় কয়েকটি পশ্চিমা দেশ হুশিয়ারি দিয়েছে। তারা বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তারাও তাদের প্রতিনিধিদের এই সভায় পাঠাতে দ্বিধা বোধ করবেন।

১৯ জুলাই ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষরিত একটি চিঠি নাগাসাকির মেয়রের কাছে আসে। চিঠিতে জানানো হয়, ইসরাইলকে বাদ দেওয়া হলে আমাদের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ঝামেলাপূর্ণ হবে।’

জার্মান দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের রাষ্ট্রদূত ক্লেমেনস ফন গেৎজে যোগ দেবেন না। তার বদলে মিনিস্টার কাউন্সিলর যোগ দেবেন।

মঙ্গলবার হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ কোহেন যোগ দেন। এ সময় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।

১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিমান থেকে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর জাপান নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং কার্যত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে। তবে এতে নিহত হন হাজারো মানুষ। পারমাণবিক বোমার তেজষ্ক্রিয়তাজনিত অসুস্থতায় ভুগে পরবর্তী বছরগুলোতেও অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হয়।

প্রতি বছর এই দুই শহরে বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পারমাণবিক অস্ত্র চিরতরে নিষিদ্ধের দাবিতে শান্তি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

LEAVE A REPLY