ক্যামেরুনের বক্সার ব্রোঞ্জ জিতেছেন শরণার্থী হিসেবে

সংগৃহীত ছবি

প্যারিস অলিম্পিকসে মহিলাদের ৭৫ কেজি বক্সিং-এ ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন সিন্ডি এনগাম্বা। সিন্ডির জন্ম ক্যামেরুনে। তবে ক্যামেরুনে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি আর বর্তমানে সে দেশের নাগরিক নন। পদক জিতে শরণার্থী হয়ে।

সে দেশে আর ফিরে যেতে চান না, ফিরে যেতে পারবেনও না। কারণ সিন্ডি এনগাম্বা সমকামী। তার জন্মভূমি ক্যামেরুনে এই পরিচয় আইনত নিষিদ্ধ।

সিন্ডি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের বোল্টনে থাকেন।

তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন একজন শরনার্থী প্রতিযোগী হিসেবে। বহুবার যুক্তরাজ্যের আদালতে নাগরিকত্বের অধিকার চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন সিন্ডি। কিন্তু তিনবার জাতীয় স্তরের খেতাব, ও জিবি বক্সিং এর সম্পূর্ণ সমর্থন থাকা সত্ত্বেও প্রতিবারই আদালত তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। নাগরিকত্ব দেয়নি।

কোনো দেশের নাগরিকত্ব না পাওয়ায় জুটেনি কোন স্পনসর বা পৃষ্ঠপোষক।  তাই জিবি বক্সিংয়ের শেফিল্ড ইয়োর্কশায়ার শাখায়, নিয়মিত যুক্তরাজ্যের অগ্রণী বক্সারদের সঙ্গে প্র্যাকটিস চালালেও কোন পয়সাকড়ি উপার্জন করতে পারেন না সিন্ডি।  তবুও সিন্ডির নাম লেখা হয়ে গেছে ইতিহাসে কারণ সিন্ডি এনগাম্বা প্রথম শরনার্থী প্রতিযোগী হিসেবে, প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন থাবাকিরা ফোন করছে তামারা থেইভোল্টকে হারিয়ে অলিম্পিকসে পদক জিতেছেন।

২০১৭ সালে শরণার্থী প্রতিযোগীদের সুবিধার্থে একটি অলিম্পিক রিফিউজি ফাউন্ডেশনও তৈরি করা হয়। তারপর থেকে প্রতিবারই শরণার্থী প্রতিযোগীরা অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করেছেন।

“আমার মনে হয় একটা ভালো জীবন পাওয়ার জন্য কষ্ট করাটা খুব দরকার। আমি একেবারেই কোন নেগেটিভ কথা বলতে চাই না, কিন্তু যদি বলতেই হয় তাহলে বলব, এমন আরো অনেক মানুষ আছেন যাদের জীবনটা একেবারেই আমার মতো যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে কেটেছে, এই যুদ্ধটাই সেই মানুষগুলোও শক্ত করেছে” – বলেছেন সিন্ডি এমগাম্বা।

সিন্ডির মতো এমন আরও হাজার হাজার মানুষ আছেন যাদের নামের পাশে শরণার্থী তকমা জুড়ে যাওয়ার জন্যে তারা নিজেরা দায়ী নন।

LEAVE A REPLY