যে কারণে ৬ বছরে ২০ বার বাসা বদল করতে হয় নওশাবাকে

২০১৮ সালে সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদের জীবনে হঠাৎ করেই আঁধার নেমে আসে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে সক্রিয় থাকার জেরে ওলটপালট হয়ে যায় তার জীবন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের সে অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন এই অভিনেত্রী।

উপস্থাপক তানভীর তারেকের অনুষ্ঠানে এসে সে সময় তার জীবনে কী ঘটেছিল তা সবিস্তারে জানিয়েছেন নওশাবা। সে পর্বটির সারসংক্ষেপ নিয়ে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন তানভীর তারেক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৮ তে প্রথম রুলিং পার্টির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিল্পী হলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এরপর তাকে ২১ দিনের নির্যাতন! অতঃপর রিহ্যাবে ৬ মাস।’

সে ঘটনার পর মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন নওশাবা। এর সঙ্গে ঢাকায় মাথার ওপর একটা ছাদ খুঁজে পেতেও এই অভিনেত্রীকে কতটা লড়াই করতে হয়েছে সে কথাও লিখেছেন তানভীর, ‘নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতো না নওশাবা! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছে। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেনি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপোষ করেননি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনও চলমান। গল্পগুলো আসছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নওশাবাকে গ্রেফতারের পর চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এই অভিনেত্রীকে। পরে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সিএমএম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান নওশাবা।

LEAVE A REPLY