দ্রব্যমূল্য নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় ডিবিতে ডাকা হয়েছিল ওমর সানীকে

মর সানী

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। তবে তার জন্ম ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের দুই-তিন বছর আগে। তাই মুক্তিযুদ্ধের ডামাডোলের কিছু মনে না থাকলেও ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে তুলনা করলেন নতুন করে পাওয়া স্বাধীনতার স্বাদের সঙ্গে।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, তিনি সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছেন এই জেনারেশনের শিক্ষার্থীদের শক্তি দেখে।

তার অনেক ভুল ধারণা কেটে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল ১৯৮০ সালে যখন তরুণ ছিলাম, আমরাই সাহসী ছিলাম। ৯০-এর গণ-আন্দোলনও চোখের সামনে দেখেছি। কিন্তু ২০২৪-এর আন্দোলন দেখলাম; এতে মনে হয়েছে, এই জেনারেশন সবচেয়ে বেশি সাহসী।

সত্যি বলতে ভেবেছিলাম, এখনকার ছেলেমেয়েরা ঘরকুনো, রাত জাগে, ফেসবুকসহ অনেক কিছুতে আসক্ত। ওদের ওপর ভরসা ছিল না। কিন্তু শুধু আমার কেন, গোটা দেশের মানুষের ধারণা পাল্টে দিয়ে তারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ কারণে ওদের প্রতি আমার স্যালুট।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ জানান ওমর সানী। নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রাষ্ট্র বলে দেন আমরা কী খাব? খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন, আর পারছি না।’ মূলত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত থাকায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় প্রভাব পড়ায় এই পোস্ট দেন ওমর সানী। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। এমনকি ওপরমহল থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে সানী বলেন, ‘মিন্টো রোডেও (ডিবি কার্যালয়) ডাকা হয়েছিল।

তবে তারা আমাকে ঝামেলায় ফেলেনি। পোস্টটি ডিলিট করতে বলেছিল, কিন্তু তা করিনি।’

নতুন বাংলাদেশ গড়তে ওমর সানী বলেন, ‘আসিফ মাহমুদ (যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা) হওয়ায় অনেকে মনে করছে, সাকিব আল হাসানের দিন শেষ। কারণ সে দলীয় প্রতীক। কিন্তু না, সাকিবকে দেশের সম্মানের জন্য খেলতে হবে। নতুন দল ঘোষণায় তাকে রাখা হয়েছে। এটা যদি আগের জেনারেশনের কেউ উপদেষ্টা থাকতেন তাহলে হয়তো সাকিবকে বাদ দিয়ে দিতেন। এখানে তারুণ্য আলাদা।’

LEAVE A REPLY