রিপোর্ট দিয়ে কী হবে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতারই না হয়: তনুশ্রী

বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বিনোদন জগতে পা দিতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। এ বিষয়টি সবারই জানা। তখন তার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি। এবার মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি। সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী দত্ত।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বলিউডে যৌন হেনস্তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি— ‘চকোলেট’ ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক। এবার হেমা কমিটির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তনুশ্রী দত্ত। 

মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি, সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী। কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী বিশাখা কমিটিরও সমালোচনা করেন এ অভিনেত্রী।

২০১৭ সালে প্রযোজক তথা অভিনেতা দিলীপসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাড়ির মধ্যে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন মালায়লাম ছবির এক অভিনেত্রী। সেই ঘটনার পরেই নারীদের সুরক্ষার জন্য গঠন করা হয় হেমা কমিটি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমা কমিটির নিন্দা করে তনুশ্রী বলেন, এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করার অর্থ কী? বরং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হতো। আরও কঠোর আইন আনা উচিত ছিল। আমি বিশাখা কমিটির কথাও শুনেছিলাম। অনেকগুলো পাতা নিয়ে তৈরি সেই দীর্ঘ রিপোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হলো?

এ আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ টেনে এনে তনুশ্রী বলেন, নানা পাটেকর ও দিলীপের মতো মানুষ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এদের এই বিকারের কোনো সমাধান নেই। নিষ্ঠুর ও ক্ষতিকর মানুষই এ ধরনের কাজ করতে পারে। এ ধরনের সমিতি নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। এ পদ্ধতির ওপর আমার কোনো ভরসাও নেই। তিনি বলেন, এ রিপোর্ট পেশ করে ওরা শুধু সময় নষ্ট করতে পারে। আসল কাজ এরা করে না। নিরাপদ কর্মস্থল পাওয়া নারীদের বা যে কোনো মানুষের মৌলিক অধিকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনু্শ্রী। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে’ ছবির সময় তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন নানা। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি।

এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি— ‘চকোলেট’ ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক।

২০০৫ সালে শুটিং হওয়া ‘চকোলেট’ ছবির একটি দৃশ্যে ছোট স্কার্ট পরতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে সেই খোলামেলা পোশাকের ওপরে একটি বড় কোট পরে বসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এতেই নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন বিবেক। দাবি করেছিলেন— শুটিং সেটে ক্যামেরার বাইরেও তাকে একই পোশাকেই থাকতে হবে!

ঘটনার রেশ টেনে সংবাদমাধ্যমে তনুশ্রী বলেছিলেন, শুটিংয়ের ফাঁকে শিল্পীরা ভ্যানে বিশ্রাম নেন। বিশেষ করে যখন ছোট পোশাক পরতে হয়। আমি ওই ছোট পোশাকের ওপরে লম্বা কোট পরে বসতাম। তখন পরিচালক বললেন— একটু পরেই শুটিং শুরু হবে। কোটটা খুলে ফেলো। পুরো শুটিংয়ের কলাকুশলীদের সামনে আমাকে ছোট স্কার্ট পরিয়ে বসিয়ে রাখতেন তিনি।

LEAVE A REPLY